দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: দেশের প্রতি চারজনের মধ্যে একজন নিরক্ষর রয়েছেন। নিরক্ষতার হার বেশি নারীদের মধ্যে। গ্রামের চেয়ে শহরে সাক্ষরতার হার বেশি। বিভাগ হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে বরিশাল, পিছিয়ে ময়মনসিংহ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২ (এসভিআরএস)’ জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপে দেখা গেছে, পাঁচ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। বাকি ২৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি চারজনে একজন নিরক্ষর। একজন ব্যক্তি যদি সাধারণভাবে কোনো বাক্য লিখতে পারে, জরিপে তাকে সাক্ষর হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। এ বিষয়ে সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান আমাদের সময়কে বলেন, নিরক্ষরতা রোধে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে; অগ্রগতিও হচ্ছে। তবে বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে এসব কর্মসূচি পরিচালনা করতে পারলে ভালো হয়। তিনি বলেন, নিরক্ষরতার বড় অংশই হচ্ছেন বয়স্ক মানুষ। এর বাইরে অল্প বয়সের যারা রয়েছে, তাদের চাপ দিয়ে শেখাতে হবে। কর্মক্ষেত্রে সাক্ষরজ্ঞান থাকাটা বাধ্যতামূলক করার পরামর্শও দেন তিনি।
জরিপে দেখা গেছে, ৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের সাক্ষরতার হার ৭৭ দশমিক ২২ শতাংশ। একই বয়সের নারীদের মধ্যে এই হার ৭৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। বিবিএস বলছে, সাক্ষরতা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা ব্যক্তির জ্ঞান, দৃষ্টিভঙ্গি ও নৈতিক আচরণকে দারুণভাবে প্রভাবিত করে। গ্রাম অঞ্চলে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং শহর অঞ্চলে ৮৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। শহরাঞ্চলে পুরুষদের সাক্ষরতার হার ৮৬ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশের বেশি। গ্রাম অঞ্চলে এই হার ৭৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শহরে নারীদের সাক্ষরতার হার ৮২ দশমিক ১৩ শতাংশ, গ্রামে ৭২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
জরিপে উঠে এসেছে, ১৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ পুরুষ বিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পাননি। নারীদের মধ্যে এ হার ২২ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। প্রায় ২৩ দশমিক ৩১ শতাংশ ছেলে শিশু এবং ১৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ মেয়ে শিশু প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পুরুষদের মধ্যে ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং নারীদের মধ্যে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। প্রায় এক-চতুর্থাংশ সংখ্যক পুরুষ (২৪ দশমিক ২৭ শতাংশ) এবং ১৯ দশমিক ২৬ শতাংশ নারী মাধ্যমিক এবং উচ্চ স্তরের পড়াশোনা শেষ করতে পারে।