খেলাধুলার সরঞ্জাম কিনতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে পেয়েছে সারাদেশের ৩ হাজার ৬৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দেশের ৪৫৬টি উপজেলার এসব স্কুলকে নিড বেইসড প্লেইং এক্সেসরিজ কিনতে মোট ৫৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ টাকা ব্যয় ও বরাদ্দের মঞ্জুরি দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
রোববার এ টাকা পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা প্রকাশ করে নিড বেইজড প্লেইং এক্সেসরিজ স্থাপনের শর্তগুলো জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
জানা গেছে, গত ৩০ নভেম্বর চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) সাব কম্পোনেট কার্যক্রম বাস্তবায়নে ২০২২-২৩ অর্থবছর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিড বেইসড প্লেইং এক্সেসরিজের ব্যয় নির্বাহে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনুকূলে অনাবাসিক ভবন উপখাত থেকে জিওবি ও আরপি বরাদ্দ থেকে মোট ৫৪ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ ও ব্যয়ের মঞ্জুরি দেয়া হয়।
রোববার এ টাকা ব্যয়ের কিছু শর্ত দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। সেগুলোর মধ্যে আছে, স্কুলে নিড বেইজড্ প্লেইং এক্সেসরিজ স্থাপনের কার্যক্রম ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে। কাজ শুরুর আগে অবশ্যেই উপজেলা প্রকৌশলী কর্তৃক নিজ বেইজড্ প্লেইং এক্সেসরিজ স্থাপন কার্যক্রমের প্রাক্কলন প্রস্তুত করে উপজেলা শিক্ষা কমিটিা অনুমোদন নিয়ে কাজ করতে হবে। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশ্লিষ্ট সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা প্রকৌশলী, প্রধান শিক্ষক ও এসএসমিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন।
বরাদ্দের টাকা থেকে, স্লিপার, সুইং, সিস, হ্যাংগিং রিংস্, ল্যাডার ও জিগজ্যাগ স্থান করা যাবে। এসব স্থাপনের পর ছবি তুলে ও ভিতিও করে তা সংরক্ষণ করতে হবে যাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ চাহিবামাত্র তা দেখানো যায়।
স্কুলে কোন কোনো প্লেইং এক্সেসরিজ স্থাপন করা প্রয়োজন তার তালিকা প্রধান শিক্ষক প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে জমা দেবেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাদ্দ পাওয়া স্কুলের প্লেইং এক্সেসরিজের তালিকা সংগ্রহ করে একত্রে প্রাক্কলন প্রস্তাব তৈরির জন্য উপজেলা প্রকৌশলীর (এলজিইডি) কাছে পাঠাবেন। উপজেলা প্রকৌশলী প্রাক্কলন প্রস্তাব প্রস্তুত করে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে দেবেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার প্রাক্কলন প্রস্তাব উপজেলা বা মহানগর শিক্ষা কমিটিতে অনুমোদনের ব্যবস্থা নেবেন।
নিরীক্ষার জন্য বিল, ভাউচার ও প্রাক্কলনের কপি উপজেলা শিক্ষা অফিসে সংরক্ষণ করতে হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল, ভাউচার ও প্রাক্কলনের কপি নিজ বিদ্যালয়ের সংরক্ষণ করবেন। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ জুনের মধ্যে ব্যয় করতে হবে। আইন, বিধিবিধান এবং ভ্যাট কেটে সরকারের প্রচলিত বিধি অনুসরণ করে এ কাজ করতে হবে।
অ্যাকাউন্টস্ অফিস থেকে বিল পাসের পর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কোনোভাবেই নগদ টাকার মাধ্যমে বিদ্যালয় পর্যায়ে টাকা দিতে পারবেন না। বিদ্যালয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর বা ক্রস চেকের মাধ্যমে তা দিতে হবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের পাঠকদের জন্য দেড় লাখ করে টাকা পাওয়া ৩ হাজার ৬৫৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকা তুলে ধরা হলো।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।