প্রাইভেট পড়তে আসা ছাত্রীর নগ্ন ভিডিও ধারণ করে নিয়মিত ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার কলেজশিক্ষক জিন্নাতুল ইসলামকে (৫৩) সাময়িক বরখাস্ত করেনি কর্তৃপক্ষ। জামিনে মুক্ত পেয়ে তিনি নিজ পদে বহাল থেকে নিয়মিত চাকরি করায় শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযুক্ত কলেজশিক্ষক জিন্নাতুল ইসলাম বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
গত বছরের ১ নভেম্বর রাতে শহরের কামারগাড়ি রানার সিটির বাসা থেকে সদর থানা-পুলিশ জিন্নাতুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। ওই রাতেই ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
পরদিন তাঁকে পুলিশ কারাগারে পাঠায়। দুই মাস কারাগারে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে কর্মস্থলে যোগ দেন। কিন্তু কারাগারে থাকার সময় কর্তৃপক্ষ তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেনি। কর্মস্থলে যোগ দিয়ে নিয়মিত ক্লাস নেওয়া শুরু করলে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। গত মাসের প্রথম সপ্তাহে জিন্নাতুল ইসলামের ক্লাস বর্জন করেছিল ক্ষুব্ধ ছাত্র-ছাত্রীরা।
ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জেবুনেচ্ছা বলেন, মামলাটি তদন্ত শেষে প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় গত ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে জিন্নাতুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের পরপরই বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল।
ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক জিন্নাতুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যস্ততার অজুহাতে কথা না বলে এড়িয়ে যান।
সরকারি আজিজুল হক কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অলোক পোদ্দার বলেন, জিন্নাতুল ইসলাম জামিন পাওয়ার পর নিয়মিত ক্লাস করছেন।
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ শাজাহান আলী বলেন, জিন্নাতুল ইসলাম হাইকোর্ট থেকে জামিনে আছেন। মামলাটি যেহেতু উচ্চ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এ কারণে তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানানো হয়নি।