দৈনিক শিক্ষাডটকম, নওগাঁ: নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলার চন্ডিপুর দাখিল মাদরাসা মাঠে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এ নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা নজিবর রহমান।
অপরদিকে দুবলহাটি ইউনিয়নের মাতাসাগর ঈদগাহ মাঠে নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হুসাইন আহমেদ।
এদিকে পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পাবলিক মাঠে প্রায় শতাধিক মুসল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করা হয়। মোনাজাতের আগে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ। নামাজের ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. আব্দুল মুকিম।
সাপাহারের সাপাহার সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসার আয়োজনে মাদরাসা মাঠে শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশগ্রহণে বিশেষ এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের জামাতে ইমামতি করেছেন ওই মাদ্রাসার হিফযু বিভাগের পরিচালক ও উক্ত মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মো. ওমর ফারুক।
রাণীনগর উপজেলা সদরের পূর্ব বালুভরা পাবলিক ঈদগাহ মাঠের আয়োজনে রাণীনগর শের-এ বাংলা সরকারি কলেজ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেন। এ নামাযে ইমামতি করেন, ঐতিহাসিক কুসুম্বা মসজিদের খতিব মাওলানা মোস্তফা আল আমিন।
এ ছাড়াও মহাদেবপুর উপজেলার পাহাড়পুর বাজার মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয়।
সাপাহার সরফতুল্লা ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. মোসাদ্দেক হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, চলমান আবহাওয়া থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে গরমের তাপমাত্রা কমে শীতল আবহাওয়া ও বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকার আদায় করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশে বইছে তীব্র তাপদাহ ও খরা। তীব্র তাপদাহের প্রভাব পড়েছে জনজীবনসহ ফসলে। ফসলি জমির মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। মাটি থেকে উঠছে গরম হাওয়া উঠছে। নওগাঁয় গত কয়েকদিন থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলছে।