অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়া ব্যবসায়ী শেখ বশিরউদ্দীনের অপসারণের দাবি জানিয়েছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিপ্লবী ছাত্র জনতা।
সোমবার(১২নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে অপসারণ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
এ সময় বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের শহীদদের এখনো রক্তের দাগ শুকায়নি, আহতরা এখনো কাতরাচ্ছে। এমন অবস্থায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যা মামলার একজন আসামিকে উপদেষ্টা করার সিদ্ধান্ত শহীদদের সাথে বেইমানি।
বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বিতর্কিত উপদেষ্টাকে অপসারণ না করলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিপ্লবী ছাত্র জনতা।
এদিকে, ছাত্র-জনতার অংশীদারত্ববিহীন সিদ্ধান্তে উপদেষ্টা নিয়োগ এবং এতে ফ্যাসিবাদী দোসরদের স্থান দিয়ে শহীদের রক্তের অবমাননার অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয় এ কর্মসূচি। এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ছাত্র-জনতার অংশীদারিত্ববিহীন সিদ্ধান্তে উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়টি কোনো ভাবেই মেনে নেবে না ছাত্রসমাজ।
জুলাই-আগষ্টে ফেসবুকে ২/১টা পোস্ট দিয়েই উপদেষ্টা হয়ে যাচ্ছেন, কীভাবে হচ্ছে সেটি বোঝা দরকার বলে মন্তব্য তাদের। তারা বলেন, ভারতের দালালী করা ব্যক্তিরাও ডাক পাচ্ছেন বঙ্গভবনে, যেটি অভ্যুত্থানের সাথে বেঈমানী।
উত্তরবঙ্গের কোনো জেলার কেউ উপদেষ্টা নিয়োগ না পাওয়ার সমালোচনাও করেন আন্দোলনকারীরা। অবিলম্বে এমন নিয়োগ ছাত্র সমাজ মেনে নেবে না বলেও হুশিয়ারি শিক্ষার্থীদের। ফারুকীকে কিভাবে নিয়োগ দেওয়া হলো সেটি স্পষ্ট করার আহ্বানও তাদের।
রোববার বঙ্গবভনে শপথ নিয়েছেন নতুন তিন উপদেষ্টা। তারা হলেন—ব্যবসায়ী শেখ বশিরউদ্দীন, চলচ্চিত্র পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।