নতুন কারিকুলাম অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি দাবি করেন নতুন কারিকুলামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিজ্ঞান শিক্ষার নামে যা শেখানো হচ্ছে সেই পাঠ সভ্য সমাজের পাঠ্য বই হতে পারে না। আজ মঙ্গলবার, গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ৬ষ্ঠ শ্রেণির একটি সন্তানের বয়স কত হয়? ১১ থেকে ১৩ বছর হয়। এই বয়সে সব শিশু বয়ঃসন্ধিতে পৌছায় না। কিন্তু সেই বয়সেই এ ধরনের শিক্ষা সন্তানের মনে ভয়ঙ্কর কু-প্রভাব ফেলতে পারে। সবচেয়ে জটিল বিষয় হচ্ছে, ক্লাসে পাঠ্য এই বিষয়গুলো নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রুপ ডিসকাশন করতে হয়, গ্রুপ অ্যাসাইনমেন্ট করতে হয়, সামষ্টিক মূল্যায়নের মাধ্যমে ত্রিভুজ পেতে হয়। কিন্তু এ বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আলোচনার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যে লজ্জার বাঁধন থাকে, সেটা উঠে যায়।
বিবৃতিতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি বলেন, একটি শিশুর যখন দাঁত জন্মায়, তখন সে কামড় বসিয়ে তার ব্যবহার করতে চায়। একটি শিশু যখন হাঁটার শক্তি পায়, তখন বার বার হেঁটে তার ব্যবহার করতে চায়। ঠিক তেমনি একটি শিশু বয়ঃসন্ধিকালে যে নতুন ক্ষমতা পায়, তারও যথেচ্ছ ব্যবহার সে করতে চাইতে পারে। এজন্য বয়ঃসন্ধিকাল একটি সেনসিটিভ সময়। এর নিয়ন্ত্রণও সেনসিটিভলি করা উচিত। বর্তমান পাঠ্যবইয়ে যে যৌন শিক্ষা দেয়া হচ্ছে, তাতে শিশুটি ভুল বুঝে যৌনতায় বেপরোয়াও হয়ে যেতে পারে, যা খুব ভয়ঙ্কর বিষয়।
তিনি বলেন, স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম কোনোভাবেই মেনে নেবে না।