পাঠ্যপুস্তকে কিছু ত্রুটি হয়েছে, সেগুলো সংশোধন করা হচ্ছে, ত্রুটির বিষয়ে যে কেউ পরামর্শ ও তথ্য দিলে তা গ্রহণ করা হবে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ‘নতুন বইয়ের যেকোনো ত্রুটি পেলে আমাদের যে কেউ তথ্য দিতে পারেন, পরামর্শ দিতে পারেন। আমরা তা গ্রহণ করব এবং ত্রুটি দূর করব। জাতির পিতার ভাষায় বলছি, একজনও যদি ন্যায্য কথা বলেন আমরা তা মেনে নেবো। কিন্তু কোনো মিথ্যাচার গ্রহণ করা হবে না।’
শিক্ষামন্ত্রী সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষার্থীদের মাঝে 'বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক', 'ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ স্বর্ণপদক' এবং 'ড. এ.কে খান স্বর্ণপদক' প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নতুন বইয়ে কিছু ত্রুটি আছে, তা আমাদের নজরে আসার পর সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ত্রুটি সংশোধনে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি ইচ্ছাকৃত ত্রুটি কি-না তা তদন্তে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইচ্ছাকৃত ত্রুটি হলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করব। মাধ্যমিকের বই নিয়ে কথা উঠেছে। মাধ্যমিকের দুই শ্রণিতে ২৬টি বই। নতুন এতগুলো বই একসঙ্গে করা কষ্টকর। আমরা করেছি। ভুল ত্রুটি থাকলে তা নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে চিহ্নিত করে সংশোধন করছি। এবার একটা জিনিস ভালো লাগছে সবাই আমাদের নতুন বই পড়ছেন।’
নতুন পাঠ্যবই নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বইতে শিক্ষার্থী তার শিক্ষককে প্রশ্ন করছেন স্যার মানুষ কি বানর থেকে তৈরি? শিক্ষক তার জবাব দিয়েছেন। কিন্তু বইতে কোথাও বলা হয়নি মানুষ বানর থেকে তৈরি। ডারউইন সাহেব নিজেও তো বলেননি মানুষ বানর থেকে তৈরি। অপপ্রচার করা হচ্ছে, বইতে আমরা সমকামিতাকে প্রতিষ্ঠা করছি, পর্দাকে হেয় করছি, হিন্দুত্ববাদ কায়েম করতে ইসলামিক ইতিহাসকে হেয় করছি। এগুলো সবই অপপ্রচার।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামানিক। এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মুরশেদুল কবীর।