বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.শুচিতা শরমিন বলেন, নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস থেকে দূরে রাখার জন্যই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে। ফলাফল নতুন বুদ্ধিজীবী শ্রেণির উদয়। যাদের খুব অল্প টাকায় কেনা গেছে। পনেরো টাকা দিয়ে যেমন তাদের কেনা গেছে আরো অনেক বড় অঙ্ক দিয়েও তাদের কেনা হয়েছে। তবে আসল বুদ্ধিজীবীদের শনাক্ত করতে পেরেছে খুব কম মানুষ। নিশ্চয় বুদ্ধিজীবীদের যোগ্যতা আছে এবং তাদের কথা শুনে মানুষের ভালো লাগা তৈরি হয়। সেরকম মানুষ ছিলেন তারা। হয়তো এখনও দুই একজন আছেন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কীর্তনখোলা হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বুদ্ধিজীবীর স্মরণে আয়োজিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড.শুচিতা শরমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম রব্বানি।
এ সময় উপাচার্য আরো বলেন, বরিশালের যে ইতিহাস, যে সংস্কৃতি বরিশালের মানুষের যে শিক্ষা তা পরীক্ষিত ও প্রমাণিত। এখানে আসার পর থেকে আমি যা দেখেছি তাতে আমার বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। আমার সবচেয়ে বড় বিশ্বাসের জায়গা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। কারণ আমি দেখেছি তাদের যে যোগ্যতা আছে তা এ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। এখান থেকেই তৈরি হতে পারে নতুন বুদ্ধিজীবী। এখান থেকেই তৈরি হতে পারে সে মানুষ, যে মানুষ শুধু বরিশাল নয় সারা দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে।
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. ধীমান কুমার রায়ের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. হাফিজ আশরাফুল হক ও শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট আবদুল আলিম বছির। আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাটি সঞ্চালনা করেন প্রাণরসায়ন ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শায়লা হক। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া এবং মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনারও আয়োজন করা হয়েছে।