ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর এহসানুল হক সমাজী। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুই বছর তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া দীর্ঘ সময়ের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবুর স্থলাভিষিক্ত হলেন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সলিসিটর মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা যায়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর পদে মো. আব্দুল্লাহ আবুর নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হলো।
এহসানুল হক সমাজী একজন স্বনামধন্য ফৌজদারি আইন বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তিনি বাংলাদেশের ফৌজদারি কার্যবিধির কোড, ইএনডিপি, বাংলাদেশের সংশোধনী সংক্রান্ত কাগজ তৈরির জন্য জাতীয় পরামর্শদাতা ছিলেন।
সমাজী ২০০৭-২০০৯ মেয়াদে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর এবং বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তার মেয়াদে তিনি রাষ্ট্র/প্রসিকিউশনের প্রতিনিধিত্ব করেন ও ফৌজদারি আদালতে সব মামলা পরিচালনা করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের এলএলবি (সম্মান) এবং ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দের এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ অক্টোবর একজন আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ওই বছরের ৪ নভেম্বর তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দের ২১ জানুয়ারি তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন।
এহসানুল হক সমাজী কিছু চাঞ্চল্যকর মামলাসহ অসংখ্য ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করেছেন। তিনি একজন ক্রিমিনাল প্র্যাকটিশনার হিসেবে অনুশীলন করতে উৎসাহিত বোধ করেন। তিনি অনেক প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির লিগ্যাল অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির পার্ট-টাইম ফ্যাকাল্টি ছিলেন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত ট্রায়াল এবং অ্যাডভোকেসি দক্ষতা শেখান। বর্তমানে তিনি দায়রা আদালত/বিশেষ জজ আদালত/ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন অনেক মামলায় সুনামের সঙ্গে লড়াই করছেন।