সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত ৩৭ হাজার প্রার্থীর ডোপ টেস্ট করতে হবে। তাদের ডোপ টেস্টের রিপোর্ট, স্বাস্থ্যগত সনদ ও পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করে সব সনদসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপস্থিত হতে হবে।
এটিসহ নতুন প্রার্থীদের যোগদান নিয়ে সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়।
যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হবে :
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি ও অপারেশন শাখার পরিচালক মনীষ চাকমা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন প্রদত্ত স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ ও ডোপটেস্ট রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দাখিল করতে হবে। স্বাস্থ্যগত সনদে প্রার্থী কোনো দৈহিক বৈকল্যে ভুগছেন বা উল্লেখিত পদে নিয়োগযোগ্য নয় বলে উল্লেখ থাকলে তিনি নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন না।
নির্বাচিত প্রার্থীদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিচিতি প্রতিপাদন ও সব ডকুমেন্টস যাচাইয়ের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জমা দিতে হবে। প্রার্থীর সব মূল সনদ (সব সনদের মূলকপি, জাতীয় পরিচয়পত্র, তিন কপি পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম যথাযথভাবে পুরণকৃত), সিভিল সার্জনের দেয়া স্বাস্থ্য উপযুক্ততার সনদ এবং ডোপটেস্ট রিপোর্ট দিতে হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোটার সনদসহ সশরীরে উপস্থিত হতে হবে।
নির্বাচিত প্রার্থীদের আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ৩ সেট পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে। কোনো প্রার্থীর পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্টে পূর্ব কার্যকলাপ সন্তোষজনক না হলে কিংবা নাশকতা, সন্ত্রাসী বা জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত বা রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যক্রমে লিপ্ত ছিলেন বলে প্রতীয়মান হলে তিনি চাকরিতে অনুপযুক্ত হবেন।
প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদ প্রদান, সব মূল সনদসহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উপস্থিত হতে হবে। না পারলে এবং পূরণকৃত পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম দিতে ব্যর্থ হলে তিনি নিয়োগপত্র দেয়ার জন্য বিবেচিত হবেন না।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করে উপজেলাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রার্থী নির্বাচন করে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ জন্য কোনো অপেক্ষমান তালিকা বা প্যানেল করা হবে না। প্রকাশিত ফলে কোনো প্রকার ভুল-ভ্রান্তি বা ত্রুটি-বিচ্যুতি অথবা মুদ্রণজনিত ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করার বা প্রয়োজনবোধে ফল বাতিল করার এখতিয়ার কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে। নির্বাচিত কোনো প্রার্থী কোনো প্রকার ভুল তথ্য দিলে বা কোনো তথ্য গোপন করেছেন বলে প্রমাণিত হলে কর্তৃপক্ষ তার ফল বা নির্বাচন বাতিল করতে পারবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।