দৈনিক শিক্ষাডটম প্রতিবেদক: শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ একটি শ্রেণি নতুন শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা করছেন, কেউ আবার করছেন বিষোদগারও। শুধু তাই নয়, শিক্ষাক্রমের অংশ নয়- এমন কিছু বিষয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েও মিথ্যাচার করা হচ্ছে। এর জবাবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মিথ্যা তথ্য পরিবেশন ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম নিয়ে জনমনে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে এর এনসিটিবি সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান এ বিষয়ে প্রচারণায় ঘাটতি থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তবে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত যেসব পরিবর্তন এনে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে ভবিষ্যতের চাহিদা পূরণের দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) একটি সংবাদ মাধ্যমের আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন এসেছে, তাতে স্বাভাবিকভাবেই মানুষ নানা ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। মানুষ নেতিবাচক আলোচনা বেশি শুনতে চায়। সে কারণেই সরকার সব সমালোচনার জবাব দিলেও ভুল তথ্যগুলোই বেশি প্রচার পেয়েছে।
শিক্ষা ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তনের কথা জানিয়ে অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, এর মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শত বছরের মুখস্থনির্ভর ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসবে। মুখস্থ নির্ভরতা- এটা ব্রিটিশ আমল থেকে চলছে, এখনো মানুষ সে চিন্তার মধ্যে রয়েছে। সরকার এটাকে পরিবর্তন করতে চাচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে।
২০২২ খ্রিষ্টাব্দে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর পর চলতি বছর সারাদেশে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রমে পাঠদান শুরু হয়। আগামী শিক্ষাবর্ষে এ তালিকায় যুক্ত হবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও। নতুন শিক্ষাক্রমে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা না রাখা, এসএসসির আগে পাবলিক পরীক্ষা না নেয়ার মতো একগুচ্ছ পরিবর্তন এনে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থা আমূল পাল্টে দেয়ার রূপরেখা এসেছে।