নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে মত বিনিময় সভার আয়োজন করেছে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। এতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষাসচিব, সংসদ সদস্য, শিক্ষাবিদ, বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
তিন শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের ১০ মাস চলছে। শিক্ষকরা বলছেন, তাদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হলে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এই কারিকুলামের অসংগতি নিয়ে কথা বলতে চান। আর অভিভাবকরা বলছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থী কোন বিষয়ে ভালো করছে, কোন বিষয়ে খারাপ করছে তা জানার সুযোগ পেতে চান।
চলতি বছর থেকে দেশে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন হচ্ছে। শুরুতেই প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই নতুন শিক্ষাক্রম। আগামী শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম এবং নবম শ্রেণিতে যুক্ত হবে। ২০২৫ সালে যুক্ত হবে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণি। ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে যুক্ত হবে দ্বাদশ শ্রেণি। নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ের জন্য সরকার ৭৫টি নির্দেশনা জারি করে। এই নির্দেশনা পালন হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
শিক্ষকরা আরো বলছেন, নতুন এই কারিকুলাম খুব ভালো কিন্তু শিক্ষকরা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পাননি। শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, যারা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তারাও শিক্ষকদের অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না। প্রশিক্ষকদের অবহেলা ও বোঝার ক্ষমতা প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
যদিও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিভিন্ন সময় বলেছেন, কারিকুলামের নানান দিক বুঝে উঠতে আমাদের সময় লাগবে। শিক্ষকদেরও অভ্যস্ত হয়ে ওঠার জন্য কিছুটা সময় লাগবে। অভিভাবকদেরও সময় লাগবে। বিশ্বায়নের যুগে দেশের শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে নতুনকে সাদরে গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে আসছেন তিনি।