বৈষম্যমুক্ত নবম জাতীয় পে-কমিশন গঠনসহ সরকারের কাছে ৯ দফা দাবি জানিয়েছেন সরকারি গাড়িচালকরা। তারা সরকারি গাড়িচালক পদটি কারিগরি পদ হিসেবে ঘোষণা করাসহ বেতন স্কেলের বৈষম্য নিরসনে ১০ ধাপে যৌক্তিক ব্যবধানে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছেন। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের পে-স্কেলে প্রত্যাহারকৃত ভারী যানবাহন, টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেডসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পূনর্বহালেরও দাবি তাদের।
আজ শনিবার রাজধানীর ইস্কাটনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানায় বাংলাদেশ সরকারি গাড়িচালক সমিতি। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব মো. হুমায়ুন কবির। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মো. ইসহাক কবির।
লিখিত বক্তব্যে মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে বিগত সরকার বৈষম্য রেখে জাতীয় অষ্টম পে-স্কেল ঘোষণা করেছিল। যা গাড়িচালকসহ সরকারি কর্মচারীদের জন্য একটি অভিন্ন পে-স্কেল। কর্মকতারা এই পে-স্কেলে সুবিধাভোগী হয়েছেন। কিন্তু সরকারি গাড়িচালকসহ কোনো কর্মচারী কোন ধরণের সুবিধা পাননি। তারপরও প্রায় ১০ বছর হয়ে গেছে দ্রব্যমূল্যেসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও বাড়িভাড়া ঊর্ধ্বগতি থাকায় সরকারি গাড়িচালকসহ সাধারণ কর্মচারীরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারি গাড়িচালকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের নিকট অবিলম্বে পে-কমিশন গঠন করে নবম পে-স্কেলসহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
গাড়ি চালকদের ৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
বৈষম্যমুক্ত নবম জাতীয় পে-কমিশন গঠন, পে-কমিশনে বাংলাদেশ সরকারি গাড়িচালক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিনিধি রাখা, পে-স্কেলে প্রত্যাহারকৃত ভারী যানবাহন, টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেডসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পুনর্বহাল করা, পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বপর্যন্ত ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রজাতন্ত্রের সব কর্মচারীকে প্রদান করা, সরকারি গাড়িচালক পদটি কারিগরী পদ হিসেবে ঘোষণা করা, সরকারি গাড়িচালক পদের নাম পরিবর্তন করে ‘মোটরট্রান্সর্পোট অপারেটর’ করা, সরকারি গাড়িচালক পদটি ব্লক পোস্ট বাতিলপূর্বক যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতির ব্যবস্থা করা, সরকারি গাড়িচালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন পদ্ধতি সহজিকরণ, সরকারি গাড়িচালক সমিতি কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ট্রেনিং ইনিস্টিটিউট ভবনসহ ঢাকায় স্থায়ী জায়গা বরাদ্দ, গাড়িচালকদের অধিকাল ভাতার ঘণ্টা নিরুপণ হাইকোর্টের মতো করা, গাড়িচালকদের ঝুঁকিভাতা ও রেশনব্যবস্থা চালু, ঝুঁকিভাতা প্রদান, আউট সোর্সিং প্রথা বাতিলপূর্বক স্থায়ী সকল সরকারি গাড়িচালক শূণ্যপদে অবিলম্বে নিয়োগ প্রদান করা।
জালাল উদ্দিন ও সফর আলীর সঞ্চলনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমিতির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির জাহাঙ্গীর আলম, কবির হোসেন, জিয়াউর রহমান, ফজলুল হক, কেরামত আলী, আলমগীর হোসেন, জহুরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, জিয়াউর রহমান জিয়া, ফরিদ হোসেন প্রমুখ।
এছাড়াও সরকারি গাড়িচালক সমিতির বিভিন্ন শাখা কমিটি, জেলা শাখা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংবাদ সম্মলনে অংশ নেন।