নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম অনলাইনে শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার থেকে। এ কার্যক্রম শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। এবার শিক্ষার্থী প্রতি রেজিস্ট্রেশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৯৬ টাকা। তবে নির্ধারিত সময়ের পরে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা বিলম্ব ফি দিয়েও রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। গত বছর নবম শ্রেণির রেজিস্টে্রশন ফি ছিলো ১৭১ টাকা। সে হিসেবে এ বছর ফি বেড়েছে ১২৫ টাকা।
সম্প্রতি ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তি পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছর রেজিস্ট্রেশনে বেসরকারি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট তহবিলের জন্য ১০০ টাকা অতিরিক্ত ফি দিতে হবে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। আগে স্কাউটস ফি ১৫ টাকা থাকলেও চলতি বছর তা বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়েছে। সঙ্গে আরও ১৫ টাকা অতিরিক্ত গার্লস গাইড ফি যুক্ত হয়েছে মোট ফিতে। এর সঙ্গে ৮০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি, ৫০ টাকা ক্রীড়া ফি, ৫ টাকা বিজ্ঞান প্রযুক্তি ফি, ১৬ টাকা রেডক্রিসেন্ট ফি ও ৫ টাকা বিএনসিসি ফি গুণতে হবে শিক্ষার্থীদের।
তবে, নির্ধারিত সময়ের পরে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা বিলম্ব ফি দিয়েও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। ঢাকা বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে রেজিস্ট্রেশনের ফরম পূরণ করা যাবে। সোনালী সেবার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধ করতে হবে। আর আগে বিলম্ব ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেয়া হলেও চলতি বছর সে সুযোগের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
বোর্ড জানিয়েছে, চলতি বছর নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা যারা অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছে তারা রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পাবেন। ১২ বছর পূর্ণ না হলে বা ১৮ বছরের বেশি বয়সের কেউ রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে না।
বোর্ড বলছে, অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনা করে গ্রুপ বিভাজন করা যাবে। রেজিস্ট্রেশনের কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ ও বিষয় সম্পর্বে জানাবেন। শিক্ষার্থীরা অভিভাবকদের সঙ্গে আলাপ করে কোন বিভাগ বা গ্রুপ নেবে তা নিশ্চিত করবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করতে হবে শিক্ষার্থীদের।
বোর্ড জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের তথ্য আপলোড করার জন্য স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করতে হবে। অনলাইলে রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর চূড়ান্ত তালিকা ফাইনাল সাবমিটের আগে কমিটির সদস্যরা ভর্তি ফরম ও সনদের সঙ্গে মিলিয়ে নিশ্চিত করবেন। নিশ্চিত হওয়ার পর ফাইনাল সাবমিট দিতে হবে। চূড়ান্ত তালিকা প্রিন্ট করে প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে। শিক্ষার্থীর তথ্যে ভুল ত্রুটি হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১ নভেম্বর থেকে ৩১ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ফরম পূরণ করতে পারবে স্কুলগুলো।
বোর্ড জানিয়েছে, ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইএসআইএফ পূরণ করতে হবে। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হলে বা এ কারণে শিক্ষার্থীর কোন সমস্যা হলে এর দায় দায়িত্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে বহন করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (সরকারি ও বেসরকারি) মাধ্যমিক পর্যায়ে স্বীকৃতি বা স্বীকৃতি নবায়ন হালনাগাদ থাকতে হবে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ স্বীকৃতি বা স্বীকৃতি নবায়ন নেই অথবা দীর্ঘদিন স্বীকৃতি নবায়ন করা হয়নি, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রতি তিন বছরকে পূর্ণ এক মেয়াদ ধরে প্রতি মেয়াদে নির্ধারিত ফি সমন্বয় করে অনলাইনে স্বীকৃতি নবায়নের আবেদন করতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান কলেজ পর্যায় থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে একাডেমিক স্বীকৃতি অনুমতি লাভ করেছে, সেসব প্রতিষ্ঠানকে তিন বছর অন্তর-অন্তর স্বীকৃতি নবায়ন করতে হবে।