এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা বই দেখে লিখছিলেন। আর কক্ষ পরিদর্শকরা তাদের সহায়তা করছিলেন। কিন্তু ধরা পড়ে যান নলছিটি সহকারী কমিশনার (ভূমি) সমাপ্তি রায়-এর হাতে। তিন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও দুই শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তারা সবাই সেনা শাসক এরশাদ জমানা থেকে নকলের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার জেডএ ভূট্টো ডিগ্রি কলেজে কেন্দ্রের। এইচএসসি পরীক্ষার প্রথমদিনের এসব অঘটনের বিষয় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে নিশ্চিত করেছেন নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম। তবে বহিষ্কার হবার পর থেকে সংবাদমাধ্যম এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে আসছেন কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘দুই শিক্ষককে অব্যাহতি ও তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের বিষয়টি কেন্দ্র সচিব আইয়ুব আলী তালুকদার আমাকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে নলছিটি জেডএ ভূট্টো ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ এবং পরীক্ষাকেন্দ্র সচিব আইয়ুব আলী তালুকদারকে মোবাইলফোনে বারবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। এ কেন্দ্রটি সংশ্লিষ্ট আরো কয়েকজন কর্মচারীও ফোন ধরেননি।
অব্যহতি পাওয়া শিক্ষকরা হলেন, নলছিটির জয়কলাস টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক মো. রাইসুল ইসলাম এবং জেডএ ভূট্টো ডিগ্রি কলেজের প্রদর্শক জাহানারা পারভীন সোহেলী।
নলছিটির সহকারী কমিশনার (ভূমি) সমাপ্তি রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, পরীক্ষার একটি হলে ওই তিন শিক্ষার্থী বই নিয়ে আসে। আর এ সময় ওই দুই শিক্ষক সে হলটিতেই দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় আমার উপস্থিতিতে কেন্দ্র সচিব শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার ও দুই শিক্ষককে পরীক্ষার দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দেন, যোগ করেন তিনি।
জানা যায়, কলেজের একজন লাইব্রেরিয়ানের যোগসাজশে ঘুষ দিয়ে টানা ছয়বার উপজেলার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হিসেবে পুরস্কার বাগানোর অভিযোগ রয়েছে মো. আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে। এমপিওভুক্ত ওই লাইব্রেরিয়ান বিভিন্ন পত্রিকার বিজ্ঞাপনের কাজ করেনে মর্মেও অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষায় এই কলেজ কেন্দ্রের কেউ না কেউ নকলসহ ধরা পড়ে এবং বহিস্কার হন।