নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে - দৈনিকশিক্ষা

নামী স্কুলগুলোর ফলে পিছিয়ে পড়ার নেপথ্যে

মাছুম বিল্লাহ |

শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়ন আর সেই দায়িত্বটি প্রধানত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর। যদিও শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ এর পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তবে, চিরাচরিতভাবে এটি প্রমাণিত হয়ে এসেছে যে, যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে যতো বেশি শিক্ষার্থী পাস করে এবং উচ্চতর গ্রেড বেশি পায় সেগুলোকেই মূলত ভালো এবং বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলে পরিগণিত করা হয়। 

একজন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন, তিনি সবার সামনে কোনো একটি বিষয় কাঙ্ক্ষিতভাবে উপস্থাপন করতে পারেন কি না, তিনি শরীর ও মনের চাহিদা মেটানোর জন্য পরিমিত খেলাধুলা ও সাংষ্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন কি না কিংবা সামাজিক কোনো দায়বদ্ধতা সম্পর্কে তার ধারণা আছে কি না, একজন সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে তার কী দায়িত্ব এগুলো তিনি তার লেভেলে পালন করেন কি না, তার সহপাঠীদের পড়াশোনাসহ অন্যান্য বিষয়ে সার্বিক সহয়োগিতা করেন নাকি স্বার্থপর মনোভার প্রদর্শন করেন এগুলো শিক্ষার অবশ্যম্ভাবী অনুসঙ্গ। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এগুলো নিয়ে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্ণাঙ্গ চিন্তা করে না এবং সেভাবে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতও করে না।

পুরোটাই যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দোষ নয়। কারণ, সমাজও সেভাবে বিষয়গুলোতে আগ্রহ প্রদর্শন করে না, তাই প্রতিষ্ঠানও সমাজের চাহিদাটাকেই বেশি প্রাধান্য দেয়। তারপরেও দেশের কিছু কিছু বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সব ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকে। এর ফল আখেরে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সমাজের জন্য মঙ্গলজনক। যেহেতু সব প্রতিষ্ঠানই অভিভাবক ও সমাজের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স প্রদর্শন করতে ব্যস্ত, তাই শিক্ষার প্রকৃত অনুষঙ্গগুলোর চর্চা অবহেলিতই থেকে যায়। পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে  এসব কর্মকাণ্ডের কোনো প্রতিফলন যেহেতু থাকে না, শুধুই একাডেমিক বিষয়ই প্রদর্শিত হয়, তাই প্রতিষ্ঠানগুলোও একাডেমিক ফল নিয়েই ব্যস্ত থাকে। কোনো প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র একাডেমিক বিষয়গুলোতে কতোটা ভালো করেছে সেটিই হয় প্রতিষ্ঠান ভালমন্দের নিয়ামক।

প্রচলিত নিয়ামকের মধ্যেও এবার এসএসসি পরীক্ষায় খোদ ঢাকা সিটির কিছু নামকরা ও সবার পরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কাঙিক্ষত ফল লাভ করেনি। যেমন-ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল ২ হাজার ১৯৫ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ফলের সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৫২৮ জন, যা ৭০ শতাংশের কিছু বেশি। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের চেয়ে সংখ্যায় ও শতাংশের হিসাবে বেশ কম। গতবার এই বিদ্যালয় থেকে ১ হাজার ৬৫৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিলো। শুধু জিপিএ-৫ নয়, পাসের হারও গতবার এবং করেনার আগের দুই বছরের চেয়ে এবার কম। প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এ ব্যাপারে বলেন, এবার ফল তুলনামূলক খারাপ হয়েছে। তিনি আরো বলেন ছাত্রীরা ঠিকমতো ক্লাসে আসতে চান না, অনেকেই মুঠাফোনে আসক্ত এবং কোচিং-এসব কারণে ফল খারাপ হয়েছে। 

আমি ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে থাকাকালীন এটি নিয়ে একটি স্টাডি করেছিলাম। সেখানে দেখেছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে আসলে ক্লাস হয় মাত্র ১২০ দিন। অথচ এই ১২০ দিনের মধ্যেও  শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকেন না। সে দায় কমবেশি সবার। শিক্ষক যদি সে ধরনের আকর্ষণ সৃষ্টি করতে পারতেন তাহলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে আসতেন। সেটি সেভাবে হচ্ছে না। আবার শিক্ষকদেরও একদিনে এতোবেশি ক্লাস করতে হয় যে, তারা সবার দিকে সমান দৃষ্টি দিতে পারেন না, বিশেষ করে, শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪০ এর বেশি হলে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক শ্রেণিতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৮০ কিংবা ১০০ এর ওপর। তবে, উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এটি যদিও ব্যক্তি পরিচালিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এখানে কিন্তু প্রতিটি সেকশনে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪০-এর বেশি নয়। 

এই উদাহরণ কিন্তু অনেক নামকরা প্রতিষ্ঠান কিংবা সরকারি প্রতিষ্ঠানও সৃষ্টি করতে পারেনি। নামীদামি প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীর চাপের মধ্যে রেখে কিংবা জরিমানার ব্যবস্থা করে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। আবার পরীক্ষা দেয়ার সময় এটির ওপর জোর দেয়। কিন্তু ভিকারুন নিসার অধ্যক্ষ বলেছেন, তারা বাইরের চাপের কারণে এটি এখন আর কতে পারেন না। তিনি আর একটি কথা বলেছেন, অযথা কোচিং। শিক্ষকদের কোচিংকে তিনি ফল খারাপ হওয়ার পেছেনে দায়ী করেছেন, এটি কিন্তু একেবারে অযৌক্তিক কথা নয়। তৃতীয় কারণটি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের মোবাইল আসক্তির কথা। অন্যদিকে অভিভাবকদের মতামত হচ্ছে বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান বা অবস্থা আগের মতো নেই। এই বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের ভালো করার জন্য অভিভাবকদের ভূমিকা অনেক। কারণ, অভিভাবকেরা সন্তানদের কোচিং প্রাইভেটের মাধ্যমে পরীক্ষার জন্য প্রস্তত করেন। কাজেই, ফল খারাপ হওয়ার জন্য কোচিং দায়ী নয়। অভিভাবকেরা অবশ্য প্রশাসনিক দুর্বলতার ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

ঢাকায় অবস্থিত পরিচিত ১৫টি বিদ্যালয়ের ফলাফলের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনিপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ কোনো কোনোটির ফল এবার তুলনামূলক খারাপ হয়েছে। তবে, এই ১৫টি বিদ্যালয়ের মধ্যে বেশির ভাগের ফল তুলনামূলক ভালো হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি বিদ্যালয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর সাতটি বিদ্যালয়ে পাসের হার ৯৯ শতাংশের ওপরে। এর মধ্যে চারটির পাসের হার শতভাগ। এসএসসিতে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেড়েছে, গতবারের চেয়ে বেশি ৬১৪টি। ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পরিচালান কমিটি বা অন্যান্য কিছু বিষয় নিয়ে যে বিদ্যালয়গুলোতে নানামুখী সমস্যা বিরাজ করছে, সেগুলোর ফল খারাপ হয়েছে। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষায় এবার পাসের হার ৮৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার প্রায় ৮৪ শতাংশ। এবার ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৯ হাজার ১৯০ জন শিক্ষার্থী, যা গতবারের চেয়ে তিন হাজারের বেশি।  

মিরপুরের মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে একসময় ভালো ফল করতো। সাম্প্রতিক সময়ে এই বিদ্যালয়ের ফল খারাপ হচ্ছে। যেমন-এবারের এসএসসি পরীক্ষায় ১৭০ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছে। এই বিদ্যালয়ের মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৫ শতাংশের কিছু বেশি। এই বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলো ৩ হাজার ৭৫৭ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৩৭ জন। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দেও এই বিদ্যালয়ের ফল তুলনামূলকভাবে খারাপ হয়েছিলো। অথচ ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দেও এই বিদ্যালয় থেকে যত শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলো তার মধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশ জিপিএ-৫ পেয়েছিলো। এই প্রতিষ্ঠানটিতে বেশ কিছুদিন যাবত নানামুখী সমস্যা চলছে।

দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সংকট এতোটাই বেশি যে, মামলা-মোকদ্দমাসহ নানা রকমের ঘটনা ঘটে চলেছে, এখনো ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে বিদ্যালয়টি। ভিকুরুননিসা ও মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বেশ বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এই হার হয়তো আরো বেড়ে যেতো যদি টেস্ট পরীক্ষার পর সবাইকেই পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হতো। এই স্ক্রিনিংয়ের কারণে আমরা যেসব বিদ্যালয়কে ভালো বলে মনে করি, তারা এভাবে তাদের ম্যাজিক দেখিয়ে থাকে। প্রকৃত অবস্থা বোঝা যেতো যদি দশম শ্রেণির সবাইকে পাবলিক পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেয়া হতো। অভিভাবকদের মতামত এবং আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখি যে, এই দুটো প্রতিষ্ঠানেই প্রশাসনিক সমস্যা রয়েছে, যার প্রভাব কিন্তু পাবলিক পরীক্ষার ওপর পড়েছে। মতিঝিল আইডিয়াল থেকে এবার পরীক্ষা দিয়েছিলো ২ হাজার ৪১১ জন। পাসের হার প্রায় শতভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৯৫৬ জন শিক্ষার্থী। রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে পরীক্ষা দিয়েছিরো ৭৮০ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৫৮ জন এবং পাসের হার শতভাগ। হলিক্রস বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২৩১জন পরীক্ষা দিয়ে ২৩০ জন পাস করেছে। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮৫ জন। ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ থেকে ৫৬১ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে সবাই। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪০৫ জন। সরকারি গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩১৪ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৬৯ জন।

বিশ্লেষণে আমরা আরো একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি যে, সেনা অফিসার কর্তৃক পরিচালিত ঢাকার দুটো নামকরা প্রতিষ্ঠান যেমন রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ ও ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কিন্তু তাদের ঐতিহ্য ঠিকই ধরে রেখেছে শতভাগ পাসের মধ্য দিয়ে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন ১৩টি জেলা। এই বোর্ডের ফলাফলের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখো গেছে, ঢাকা মহানগর শহরাঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ফল তুলনামূলকভাবে বেশি ভালো। বিপরীতে শরীয়তপুরসহ কয়েকটি জেলার ফল তুলনামূলক পিছিয়ে আছে। এটি একটি চিরাচরিত চিত্র যে, ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বোর্ডের অধীনে অন্যান্য জেলা ও গ্রামীন প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে বেশি এগিয়ে থাকে। এটি হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইড, এটি হচ্ছে রুরাল ও আরবান গ্যাপ। এই গ্যাপ নিয়ে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বহু কিছু করার আছে। যেমন-শ্রীলঙ্কায় গ্রামে যেসব ভালো ভালো শিক্ষকদের পাঠানো হয় তাদের বেতন বেশি অর্থাৎ তারা ইনসেনটিভ পান। তাইওয়ানের যেসব ডাক্তার গ্রামে কাজ করেন তাদের বেতন ও সুবিধা অনেক বেশি। আমাদেরও এসব উদাহরণ থেকে অনেক কিছু জানার ও করার আছে। 

লেখক: ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষক

 

শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029418468475342