শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীকে পিছিয়ে রেখে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। যেমন একটি পাখির একটি ডানা বেধে দিলে উড়তে পারে না। বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সদস্যরা তাদের পুলিশ সদস্য স্বামীদের শক্তি-সাহস ও অনুপ্রেরণা দেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ অডিটোরিয়ামে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) বার্ষিক সমাবেশ ও আনন্দমেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নারীরা সব জায়গায় কাজ করছেন, নারীরা এগিয়ে গেছেন। একটি সমাজ বা রাষ্ট্র এগিয়ে যেতে হলে নারীদের পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা দেশের নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করছেন। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রেরণা হিসেবে কাজ করেন তাদের সহধর্মিণীরা। পুনাক সদস্যরা সেই অনুপ্রেরণার কাজটি করছেন।
মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে সহধর্মিণীরা তাদের পুলিশ সদস্য স্বামীদের শক্তি-সাহস ও অনুপ্রেরণা দেন। পুলিশ সদস্যদের সহধর্মিণীরা শুধু তাদের স্বামীদের সহযোগিতা ও সাহসই দেন না, পুনাকের মাধ্যমে তারা নানাবিধ কাজও করেন। সমাজের নানা ধরনের কাজে অংশ নেন।
বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার পেছনে পুলিশ সদস্যদেরও অবদান রয়েছে উল্লেখ করে দীপু মনি আরও বলেন, সেই অগ্রযাত্রায় শান্তি-শৃঙ্খলায় কাজ করছেন পুনাক সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা। সারাদেশে সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে যাচ্ছে। আর সে কাজটি করতে পারছেন মূলত পুলিশ সদস্যরা। মানুষের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার জায়গা সেটি তার ঘর। ঘরে শান্তি ও অনুপ্রেরণা থাকলেই বাইরের কাজে সাফল্য আসে। পুনাক নানা ধরনের সামাজিক কাজ করছে। জনসচেতনতার জন্য কাজ করছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করছে। এতে অনেকের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হচ্ছে।
পুনাক সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী মিসেস লুৎফুল তাহমিনা খান, পুনাক সাধারণ সম্পাদিকা নাসিমা আমিন, পুনাক সহ-সভাপতি মুনমুন আহসান, শারমিন আক্তার খান, মাহমুদা দিদার ও দিলরুবা খুরশীদসহ অনেকে।