ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগমের কাছে চাঁদা দাবি করেছেন সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন ও আজাহারুল ইসলাম। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ২ শিক্ষক মুচলেকা দেওয়ায় ঘটনাটি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের ভেতরে-বাইরে চলছে আলোচনা।
শুক্রবার (২৮ জুন) চাঁদা দাবির ঘটনার একটি স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এর আগে বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক সমঝোতা বৈঠকে এই মুচলেকা দেন অভিযুক্তরা। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের ভেতরে-বাইরেও মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম বলেন, একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তবে ঘটনাটি সামাধান হয়ে গেছে। তারা এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে মুচলেকা দিয়েছেন।
এর আগে ২৫ জুন উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিজ্ঞান বিষয়ক ৬ দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা চলাকালে শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগমের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন ও আজহারুল ইসলাম। এ সময় তারা আঞ্জুমান আরা বেগমকে বলেন, ‘জুন ক্লোজিং চলছে, আমাদের দুই লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে।’
এরপর ঘটনাটি জানাজানি হলে ২৬ জুন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন ও আজহারুল ইসলামসহ আরও অনেকেই সমঝোতা বৈঠকে বসে তারা চাঁদা দাবির বিষয়টি স্বীকার করেন। এ সময় তারা উপস্থিত সবার সামনে মুচলেকা দিয়ে বেরিয়ে যান।
জানতে চাইলে মুচলেকা দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন ও আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি সমাধান হয়ে গেছে।’
তবে এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’