শের-ই–বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে বরিশাল সরকারি নার্সিং কলেজের এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নার্সিং শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ওই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার দুপুরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শাহিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন আবাসিক চিকিৎসক মানবেন্দ্র সরকার ও নুরুন্নবী তুহিন। এক কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বরিশাল নার্সিং কলেজের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, নার্সিং কলেজের ওই শিক্ষার্থী আজ বেলা ১১টায় মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে গেলে চিকিৎসকের সহকারী চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইফাদ সন্যামত ওই ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর পরিচয়পত্রের (আইডি কার্ড) ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন।
বিষয়টি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানাজানি হলে এ ঘটনার বিচার দাবি করে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা বেলা দেড়টা থেকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় তাঁরা অভিযুক্ত কর্মচারীর বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন। বেলা সোয়া দুইটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী অভিযুক্ত কর্মচারীর বিচারের আশ্বাস দিলে তাঁরা বিক্ষোভ বন্ধ করেন।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি চিকিৎসা নিতে মেডিসিন বিভাগে গেলে সেখানে ইফাদ সন্যামত আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন, হাত ধরে টান দেন। আমার আইডি কার্ডের ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে দেন। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
অভিযুক্ত ইফাদ সন্যামতের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীদের মৌখিক অভিযোগের পর অভিযুক্ত ইফাদ সন্যামতকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শাহিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেব।’