জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সবাই জানতেন তিনি সাবেক ও পলাতক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের বান্ধবী। বর্তমানে তিনি ঢাকা কলেজে কর্মরত তিনি। শিক্ষাখাত ধবংসের অন্যতম উদ্যোক্তা নাহিদের সেই বান্ধবীর স্বামীই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে! স্বামিটি ঢাকার একটি কম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে আছেন। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ৬ আগস্ট কলেজটি যোগ দিয়ে প্রথম বক্তৃতায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষ বলেছিলেন, আমার বাল্যবন্ধু দীপু মনি আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন। ছেলেবেলায় ঢাকার কলাবাগানে এক স্কুলে পড়াকালে কত স্মৃতি দীপুর সঙ্গে।
গত কয়েকদিন এহেন অধ্যক্ষকে কলেজের পরিবর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি দপ্তরে ঘোরাঘুরি করছেন। নাহিদের বান্ধবীর স্বামিটি মানিকগঞ্জের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে ছিলেন। দুর্নীতি করে বরখাস্ত হওয়া প্রায় নিশ্চিত থাকলেও দীপুর ম্যাজিকে ঢাকায় আরো ভালো কলেজে বদলি হয়ে আসেন।
নাহিদের বান্ধবীর এই স্বামীটি কিন্তু সব আমলেই সুবিধাভোগী। নামের প্রথম অক্ষর স। দশ শতাংশ কোটার অধ্যাপক। যেমন কোটার সুবিধাভোগী ছিলেন সৈয়দ গোলাম ফারুক। গোলাম ফারুকের সঙ্গে নাহিদ ও দীপুর দহরম মহরম শিক্ষাখাতের সবাই জানেন। তবে, নাহিদের মন্ত্রীত্ব চলে যাওয়ার পর বিদায়ী অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন।
দৈনিক আমাদের বার্তার হাতে ছবি, ভিডিও, তথ্য ও উপাত্ত ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে শুধু নাহিদ নয় দীপু মনির সঙ্গেও পারিবারিক দহররম মহরম নাহিদের সেই বান্ধবী ও তার অধ্যাপক স্বামী ও তাদের সন্তানের। কেক কাটাসহ বিভিন্ন পোজের পারিবারিক ছবিও আছে দৈনিক শিক্ষাডটকম-এর হাতে।
গত সাতদিন ধরে নাহিদের এই বান্ধবী ঢাকা কলেজে বসে বাকবাকুম করছেন।
.....মাথায় দিয়ে টায়রা....মহাপরিচালক হবেন কাল কি, স্বামী চড়বেন পালকি!
বি: দ্র: নাহিদের এই বান্ধবীর নাম কিন্তু শরমিনা বা তোফা কিংবা রুনি অথবা নীলা নয়।