দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: নিজের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে মস্তিষ্ক ক্যানসার থেকে মুক্তি পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার একজন চিকিৎসক। ওই চিকিৎসক হলেন অধ্যাপক স্কোলিয়ার। তিনি গ্লায়োব্লাস্টোমার নামে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ ধরনের রোগীদের অনেকে এক বছরও বেঁচে থাকে না।
ক্যানসার নিয়ে নিজেরই গবেষণার ভিত্তিতে উদ্ভাবন করা একটি পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে স্কোলিয়ারের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে। চিকিৎসক স্কোলিয়ার একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রোগতত্ত্ববিদ। ক্যানসার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চলতি বছর স্কোলিয়ার এবং তার সহকর্মী ও বন্ধু জর্জিনা লংকে অস্ট্রেলিয়ান অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে স্কোলিয়ার বলেন, আবারও এমআরআই পরীক্ষায় দেখা গেছে নতুন করে টিউমারটি ফিরে আসেনি। এতে ‘আমি অত্যন্ত খুশি!!!’
এক দশক ধরে ইমিউনোথেরাপি নিয়ে গবেষণা করছেন মেলানোমা ইনস্টিটিউট অস্ট্রেলিয়ার সহপরিচালকেরা। এ পদ্ধতিতে শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা ব্যবহার করে ক্যানসার কোষকে আক্রমণ করা হয়। বিশ্বজুড়ে ক্যানসারের শেষ ধাপে থাকা রোগীদের মধ্যে এ পদ্ধতি ব্যবহার করে উল্লেখজনক সাফল্য পাওয়া গেছে।
স্কোলিয়ারের মস্তিষ্কের ক্যানসার সারাতে এ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন অধ্যাপক লংসহ চিকিৎসকদের একটি দল। অধ্যাপক স্কোলিয়ার হলেন মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত প্রথম রোগী, যার চিকিৎসায় এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে তিনি এক বছরের বেশি সময় ধরে ক্যানসারমুক্ত আছেন।
মেলানোমা ইনস্টিটিউট অস্ট্রেলিয়াতে অধ্যাপক লং এবং তার চিকিৎসক দল গবেষণা করে দেখেছে, কয়েকটি ওষুধের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে ইমিউনোথেরাপি দেওয়া হলে তা অপেক্ষাকৃত ভালো কাজ করে।
স্কোলিয়ারের চিকিৎসায় যে সাফল্য পাওয়া গেছে, তাতে চিকিৎসা জগতে আশার সঞ্চার হচ্ছে। লং ও স্কোলিয়ারের এ প্রচেষ্টা হয়তো প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে মস্তিষ্কের ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় তিন লাখ মানুষের জন্য সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি