দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ‘নাশকতা ও বিদেশিদের হস্তক্ষেপের’ প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় এক মানববন্ধন থেকে প্রতিবাদ জানান শিক্ষক নেতারা।
চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, “সরকার পরিবর্তনের একমাত্র স্বীকৃত পন্থা হচ্ছে নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে বানচাল করতে অগণতান্ত্রিক কিছু শক্তি তৎপর আছে। জনগণ যেন সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকে।
“সবচাইতে ন্যক্কারজনক ঘটনা হচ্ছে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দেও বিদেশিরা আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে অপতৎপরতা চালিয়েছিল। আজকেও আমরা দেখছি দেশে নানামুখী তৎপরতা। এই হাঁকডাক এদেশের মানুষ ভয় করে না। এদেশের মানুষই এদেশের গণতন্ত্র রক্ষা করবে।”
অপরদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে জোর দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মত কিছু দেশ ও সংস্থা।
বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ সেকান্দর চৌধুরী বলেন, জাতির বিবেক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, প্রগতিশীলতার পক্ষে এবং জাতীয়তাবাদের পক্ষে আছি বলে আমরা আজ সমবেত হয়েছি।
“১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে আমাদের পঙ্গু করে দিতে চেয়েছিল, এটাকে যুদ্ধ কৌশলে পোড়া-মাটি নীতি বলা হয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না, আবার নির্বাচন হতেও দিব না। এটা গণতন্ত্রের পক্ষের কোনো নেতার কথা হতে পারে না।”
চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক, ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং বাংলা বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ আলী, পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।