সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ কাঠামো, নির্বাচন কমিশিনকে শক্তিশালী করাসহ নির্বাচন সংস্কার কমিশনের একগুচ্ছ প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন শিক্ষার্থীরা। গণহত্যায় জড়িত দল যাতে ভোটে অংশ নিতে না পারে, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের কাছে সেই দাবিও জানান তারা। জবাবে কমিশন প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, প্রস্তাবটি গভীরভাবে বিবেচনা করা হবে।
নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে চলছে ধারাবাহিক সংলাপ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) প্রথমবার নিজেদের কার্যালয়ের বাইরে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিশন আয়োজিত আড়াই ঘণ্টাব্যাপী মতবিনিময় সভায় অংশ নেন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ কাঠামো, নির্বাচন কমিশিনকে শক্তিশালী করা, প্রবাসীদের ভোটাধিকার, আওয়ামী লীগকে ভোট করতে না দেয়া, পরিবারতন্ত্রের বাইরে গিয়ে দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রস্তাব তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।
মতবিনিময়ে অংশীজনরা বলেন, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য অন্যতম বড় শর্ত নির্বাচন। আর সংস্কার প্রস্তাব যেনো জনবান্ধব হয়, সে দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।
তিনি বলেন, আগামী দিনে কোনো সরকারকে আর ফ্যাসিস্ট হতে দেবো না আমরা। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। আমাদের তরুণদের জাগরণ থাকতে হবে। আমাদের ঐক্যে যেনো কেউ ফাটল ধরাতে না পারে। কমিশনের সংস্কার প্রস্তাব যেনো জনবান্ধব হয়। জনবিচ্ছিন্ন প্রস্তাব আজ না হোক, ২০ বছর পরে খারিজ হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে কমিশন বলছে, নিষ্ঠার সঙ্গেই কাজ করছেন তারা। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রস্তাব বিবেচনার আশ্বাসও দেয়া হয়।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রস্তাব গভীরভাবে বিবেচনা করা হবে। তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেবো না। আমি আমার সহকর্মীদের পক্ষ থেকে অঙ্গীকার করছি।
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘কোনো সরকার যদি বলে থাকে যে আমি ফ্যাসিলিটেটর, সরকার না। সেটা ঠিক না। যে যখন সরকারের চেয়ারে বসবে, তাকে সরকার হিসেবে কাজ করতে হবে।’