বরিশালের মুলাদী উপজেলা অজ্ঞাত পরিচয়ে উদ্ধার হওয়া বিকৃত লাশের পরিচয় মিলেছে। নিহত আখিনুর খানম (১৫) ছিলেন জেলার মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের পূর্ব হোসনাবাদ গ্রামের শাহে আলম হাওলাদারের মেয়ে ও চরপৈক্ষা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে রাখা হয়েছিলো।
নিহতের বাবা তার নিখোঁজ মেয়ের পরিচয় শনাক্ত করেছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে থানা পুলিশ আখিনুরের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে ঘটনার সাথে জড়িতথাকার সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একই এলাকার সাব্বির হোসেন ও ফয়সালসহ তিনজনকে আটক করেছেন।
শনিবার সকালে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে মুলাদী থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান।
তিনি জানান, পুরো বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এরআগে গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পূর্ব হোসনাবাদ এলাকার একটি খাল থেকে দুই চোখ উপড়ে ফেলা, মাথা ও মুখে ছুরিকাঘাতসহ বিকৃত অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয়ে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আখিনুরের ভাই আবুল কালাম আজাদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, গত ৩ আগস্ট সকালে খালাতো বোন হালিমা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায় আখিনুর। পরেরদিন খালাতো বোনকে ফোন করে জানতে পারেন আখিনুর ওইদিন বিকেল চারটার দিকে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে খালাতো বোনের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা করে। কিন্তু সে বাড়িতে না ফেরায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে তারা হতাশ হয়ে পরেন। পরবর্তীতে অজ্ঞাত পরিচয়ে নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে মর্গে গিয়ে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।