আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ভাষায় কথা না বলার জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে উন্নয়নের নামে এস আলমসহ কিছু ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর অবিশ্বাস্য লুটপাট, ব্যাংক লুট, বিদেশে অর্থপাচার, বিনাভোটের নির্বাচন, দমন-পীড়ন, বিচারবহির্ভূত হত্যা-গুম, সন্ত্রাস দেখেছি। শ্রমজীবী মানুষ ও জনগণের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে।
শুক্রবার বিকেলে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা অধিকার রক্ষা পরিষদ’র উদ্যোগে নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশন চত্বরে ‘জুলাই অভ্যূত্থান’ শীর্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে গণঅভ্যুত্থানের আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় সমাবেশ থেকে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে জুলাই হত্যার বিচার, শহিদদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা এবং আহতদের চিকিৎসা, পুনর্বাসনসহ দশ দফা দাবি জানানো হয়।
আনু মুহাম্মদ বলেন, আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি ছিল সরকারের প্রথম কাজ। কিন্তু তিন মাসেও তারা সেটা করতে পারেনি। দ্বিতীয় কাজ ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, নিরাপত্তা দেওয়া; সেখানেও কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। সরকারকে বলবো, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ভাষায় কথা বলা বন্ধ করুন। যে যায় লঙ্কায়, সে হয় রাবণ, মানুষের মধ্যে এমন হতাশা কাজ করছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা অধিকার রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক আসমা আক্তারের সভাপতিত্বে সমাবেশে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহা মির্জা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জি এইচ হাবীব, অধ্যাপক তহুরিন সবুর, কবি ও সাংবাদিক আহমেদ মুনির, আন্দোলনে আহত চবি শিক্ষার্থী শুভ, শ্রমজীবী প্রতিনিধি নূপূর বেগম বক্তব্য দেন।