অবৈধভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টাকা খরচ করে মিথ্যাচারে ঠাসা বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে ফেঁসে গেলেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের ধলাপাড়া ছমির উদ্দিন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে স্কুলে প্রধান শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী নিয়োগ বাণিজ্য নিশ্চিত করতে ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি অচেনা ও অখ্যাত পত্রিকায় ঘুপচি বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি কয়েকটি বহুল প্রচারিত ও পাঠকপ্রিয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আবারও চাতুরির আশ্রয় নেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাকের আহমদ। নিয়োগ প্রক্রিয়ার একটা বড় ধাপ হলো পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ । গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি ঘুপচি পত্রিকায়
এই নিয়োগ বিষয়ে দাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি এবং প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য সাদি চৌধুরী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, নিয়োগের বিষয়ে রেজুলেশনের জন্য যে মিটিং ডাকা হয়েছিল সেই মিটিংয়ে কোনও নোটিশ আমাকে দেওয়া হয়নি। আমাকে অনুপস্থিত রেখেই এগুলো করা হয়েছে। এর আগেও তিনটি নিয়োগের বিষয়ে আমি জানতাম না পরে সবার কাছ থেকে জানতে পেরেছি।
আরও পড়ুন : টাকা নিয়ে সাজানো নিয়োগ পরীক্ষা
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য হয়েও স্কুলের কোনও বিষয়েই আমাকে কিছু জানানো হয় না। এটা অত্যন্ত পীড়াদায়ক। আমি চাই যোগ্যতার ভিত্তিতে এই প্রাচীন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হোক এবং এর মধ্য দিয়েই বিদ্যালয়ের সম্মান অক্ষুন্ন থাকুক।
ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাবিনার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ৩০ সেপ্টেম্বর আমি সভাপতিকে একজন প্রার্থীর কথা জানিয়েছিলাম। তখন তিনি আমাকে বলেন এখনো পর্যন্ত নিয়োগ বিষয়ে কোন কিছুই করা হয়নি যখন করা হবে তখন জানানো হবে।
সাবিনা আরও বলেন, এই যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হয়েছে এটা আমি আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম।
প্রসঙ্গত, দৈনিক শিক্ষা ডটকম এবং দৈনিক আমাদের বার্তায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই বিদ্যালয়ে ল্যাব সহকারী ও প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাকের আহমেদ দৈনিক শিক্ষা ডটকমের প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ নয়।
ঘাটাইল উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাকের আহমেদ এবং সভাপতি রফিকুল ইসলামকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তখন তারা আমার কাছে মিথ্যা কথা বলেছেন। তারা আমাকে জানাননি যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ১৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করেছেন।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ কিনা প্রশ্ন করা হলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন. অবশ্যই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ।
তিনি আরও বলেন, আমাকে রেজুলেশন খাতা দেখিয়েছেন ২৬ সেপ্টেম্বর। তাতে লেখা ছিল স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা আমাকে বলেননি যে ১৮ সেপ্টেম্বর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়ে গেছে।