হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগের আগেই নীতিমালা প্রণয়ন করা উচিত ছিল বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। বুধবার (৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে এমন মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, আমি শপথ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। নিয়োগ পাওয়া অনেককেই চিনি না। আরও দক্ষ বিচারপতি নিয়োগ দেয়ার দরকার ছিল। তিন বছরে একটি মামলা করেছে এমন লোককেও বিচারপতি করা হয়েছে। আমরা আশা করছিলাম মানুষের চাহিদা অনুযায়ী, সব আইনজীবীদের চাহিদা অনুযায়ী আগে বিচারপতি নিয়োগে নীতিমালা বা আইন হবে। অর্ডিনেন্স বা নীতিমালা ছাড়া বিচারপতি নিয়োগ দেয়া তো আগের মতোই হয়ে গেল। আগেও এভাবে চলেছে, যার যাকে পছন্দ তাকে নিয়োগ দিয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ২৩ বিচারপতিকে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে শপথ নেন তারা।
২৩ বিচারপতিকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান-এর ৯৮ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগদান করেছেন।
নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিরা হলেন- মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।