পবিত্র হজ শুরু মঙ্গলবার (২৭ জুন)। হজ পালনের উদ্দেশ্যে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক ধ্বনিতে মিনায় সমবেত হয়েছেন বাংলাদেশ সহ বিশ্বের ১৬০টি দেশের ২৬ লাখেরও অধিক মুসলমান।
দুই টুকরো সাদা কাপড়ে শরীর ডেকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা হজ যাত্রীরা আজ সারাদিন মিনায় অবস্থান করবেন। মক্কা থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে মিনা এখন পরিণত হয়েছে তাঁবুর শহরে।
এর আগে রোববার (২৫ জুন) মক্কার মসজিদুল হারামে এশার নামাজ আদায় করে মুসল্লিরা রওনা হন মিনার উদ্দেশ্যে। ২৪ হাজার বাস মিনিবাসে করে হাজিদের নেওয়া হয়েছে পর্বত বেষ্টিত মিনায়।
হজ যাত্রীরা নিজ নিজ তাঁবুতে আজ সোমবার এবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পার করবেন। মঙ্গলবার ফজরের নামাজ আদায় করে রওনা হবেন আরাফার উদ্দেশ্যে। আরাফা ময়দানে অবস্থান করা হচ্ছে হজ।
এ বছর ৩২ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী হজ যাত্রীদের সেবা দেবেন। হজ যাত্রীদের নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মিনা আরাফা ও মুদ্দালিফার মত স্থানগুলোতে একটি সমন্বিত পরিবহন ব্যবস্থা সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে আরাফার ময়দান ত্যাগ করে হজ যাত্রীরা যাত্রা করবেন মুজদালিফার উদ্দেশ্যে। সেখানে পৌঁছে মাগরিব ও এশার নামাজ কসরের সাথে আদায় করবেন। মুজদালিফা থেকেই শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য ৪৯ টি কংকর সংগ্রহ করবেন।
মুজদালিফায় সারারাত অবস্থানের পর বুধবার ফজরের নামাজ পড়ে হজ যাত্রীগণ রওনা দেবেন মিনার উদ্দেশ্যে প্রথম দিন মিনায় পৌঁছে বড় শয়তানকে সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ, মাথা মুণ্ডন ও কুরবানী দিয়ে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মেতে উঠবেন ঈদের আনন্দে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনসহ বিশ্বের ২৫ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান এ বছর হজ পালন করছেন।