জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বৈশ্বিক পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশের অবদান সর্বনিম্ন হলেও পরিবেশগত ঝুঁকির দিক থেকে সবচেয়ে ওপরে অবস্থান করছে। তাই পরিবেশগত ঝুঁকি রোধে উদ্ভাবনী টেকসই সমাধান খুঁজতে হবে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট, দ্য আর্থ, অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘রিজওনাল ক্লাইমেট সামিট ২০২৩’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্পিকার।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ এশিয়াতে বিশ্বের চার ভাগের এক ভাগ লোক বাস করে। এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশগত ঝুঁকিও বাড়ছে।
শিরীন শারমিন বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ প্রদান করা হয়েছে। পরিবেশগত সমস্যা সমাধানে নবায়নযোগ্য ও গ্রিন এনার্জির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার বলেন, কার্যকর সহযোগিতার পরিসর বৃদ্ধি করতে আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরি করা যেতে পারে। পরিবেশ ইস্যুতে আঞ্চলিক ঐক্য বৃদ্ধিতে দেশ ও সীমানার ঊর্ধ্বে উঠে কার্যকর আলোচনা করতে হবে।
স্পিকার বলেন, রিজওনাল ক্লাইমেট সামিট ২০২৩ আয়োজন একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এই সামিট আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশগত সংকট নিয়ে আলোচনা করার পথ প্রশস্ত করেছে। আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবিলায় রিজওনাল ক্লাইমেট সামিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী।
ক্লাইমেট পার্লামেন্টের সভাপতি তানভীর শাকিল জয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী, ওয়াসিকা আয়শা খান, নাহিম রাজ্জাক প্রমুখ।