প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা আছে বলেই আইএমএফ বাংলাদেশকে ঋণ দিয়েছে। বুধবার (২৪ মে) কাতারে সফররত প্রধানমন্ত্রী ইকোনমিক ফোরামে যোগ দিয়ে একথা বলেন।
ইকোনমিক ফোরামের দ্বিতীয় দিনে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতি চলছে। জিডিপি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আইএমএফ’র ঋণ নিচ্ছি আমরা। একটা কথা হচ্ছে, আইএমএফ তাদেরকেই লোন দেয় যারা পরিশোধ করতে পারবে। বাংলাদেশ এই ঋণ কাজে লাগাতে পারবে। পরিশোধও করতে পারবে।
ব্লুমবার্গ আয়োজিত কাতার ইকোনমিক ফোরামে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অগ্রগতির জন্য ঋণ নিতেও সক্ষম পাশাপাশি আমরা তা ফেরত দিতেও সক্ষম।
বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে; এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে। জনগণ যত দিন চাইবে তত দিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এক সময় বাংলাদেশে নির্বাচন ছিল ‘জাস্ট এ গেম’। আমরা রিফিউজি ছিলাম। ৮১’তে আমরা ফিরলাম। তখন থেকে গণতন্ত্রের জন্য, ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম শুরু করি। আমাদের চেষ্টা ছিল সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা। সেটা আমরা করেছি।
যেসব দেশ আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে তাদের পর্যবেক্ষক পাঠানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ থেকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণের প্রথম কিস্তি পেয়েছে। এ কিস্তির পরিমাণ ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
ঋণের বাকি অর্থ পাওয়া যাবে তিন বছরে অর্থাৎ ছয়টি সমান কিস্তিতে ৩৬ মাসে। দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়া যাবে এ বছরের ডিসেম্বরে আর শেষ কিস্তি পাওয়া যাবে ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বরে। এসব কিস্তির পরিমাণ ৭০ কোটি ৪০ লাখ ডলার করে।