পরীক্ষার দিনেই জানতে পারলেন তাদের ভর্তি ভুয়া - দৈনিকশিক্ষা

পরীক্ষার দিনেই জানতে পারলেন তাদের ভর্তি ভুয়া

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

যাবতীয় ফি দিয়ে ভর্তি হয়েছেন, কলেজ ইউনিফর্মে নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষা সব কিছুতেই অংশ নিয়েছেন। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন জানতে পারলেন তারা শিক্ষার্থী নন। ভর্তি প্রক্রিয়ায় প্রতারণার শিকার হয়েছেন তারা। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজে।

অনলাইনে আবেদন করে ভর্তির সুযোগ পাননি রাশেদুল হক, মিলন হাসান, উম্মে হাবীবা ও শারমিন আক্তার। পরে তাদের থেকে বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে অফলাইনে ভর্তি করার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নেন কলেজের দুই কর্মচারী হারুন মিয়া ও আব্দুল হান্নান। শিক্ষার্থীদের কলেজ প্যাডে দেওয়া হয় ভর্তির রসিদ। দুই বছরে কলেজের নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেন তারা। পরে এইচএসসির ফরম পূরণসহ বিভিন্ন ফি’র নামে তাদের কাছ থেকে আদায় করা হয় ১৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু পরীক্ষার আগে আর প্রবেশপত্র পায়নি এ চার পরীক্ষার্থীসহ অন্তত ১৫ জন।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে তারা জানতে পারে ভর্তি প্রক্রিয়াটাই ছিল ভুয়া।

জানা যায়, সর্বশেষ এই শিক্ষার্থীদের থেকে এইচএসসির ফরম পূরণ বাবদ ৫ হাজার টাকা করে নেন মাস্টাররোলের কলেজ কর্মচারী হারুন। কলেজের অন্য পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র পেলেও তাদেরটা আসেনি। হারুনের কাছে প্রবেশপত্র বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি টালবাহানা করতে থাকেন। পরীক্ষার আগেই প্রবেশপত্র দিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। পরে পরীক্ষা শুরুর পর জানতে পারেন তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

এ ঘটনার পরপরই প্রধান অভিযুক্ত সরকারি শাহ সুলতান কলেজের অফিস সহায়ক হারুন পালিয়ে যান। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এমন প্রতারণার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন আরেক অভিযুক্ত কলেজের কর্মচারী আব্দুল হান্নান।

ভুক্তাভোগী শিক্ষার্থী মিলন হাসান বলেন, বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত শ্রমিকের কাজ করে দিনে কলেজ ও পড়াশোনা করতাম। হারুন ও হান্নান মিলে এই দুই বছরে আমার থেকে অন্তত ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে। এই কলেজেই দুই বছর নিয়মিত ক্লাস করেছি ও পরীক্ষা দিয়েছি। সবই ছিল ভুয়া। জীবনের সব শেষ হয়ে গেছে।

আরেক ভুক্তভোগী উম্মে হাবিবা বলেন, এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে হারুনের কাছে টাকা দিয়েছিলাম। কলেজ ড্রেস, ব্যাচ, রোল নম্বর সবই আছে। কলেজের রসিদে এতদিন সব কাজ হয়েছে। পরীক্ষার সময় জানলাম আমি শিক্ষার্থীই না! এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আমাদের জীবন নষ্ট হয়েছে এর দায় কে নেবে?

অভিযোগ স্বীকার করে কলেজের অফিস সহায়ক আব্দুল হান্নান বলেন, একজনের ভর্তির টাকা নিয়েছিলাম। সব টাকাই হারুনকে দিয়েছি। এটাই আমার ভুল।

আরেক অভিযুক্ত হারুনের সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

সরকারি শাহ সুলতান কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফসর রেজাউন নবী বলেন, অন্তত ১৫ শিক্ষার্থীর প্রতারণার খবর শুনেছি। বিষয়টি ঘৃণ্য অপরাধ। শেষ মুহূর্তে আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুই করতে পারিনি। জড়িতদের চিহ্নিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের আগামীতে করণীয় নিয়েও আমরা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলবো।

চট্টগ্রামে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ নিহত ২ - dainik shiksha চট্টগ্রামে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ নিহত ২ ঢামেকে একজনের মৃত্যু - dainik shiksha ঢামেকে একজনের মৃত্যু জবির কোটা আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ৪ - dainik shiksha জবির কোটা আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ৪ বেরোবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০০ - dainik shiksha বেরোবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০০ শহীদ মিনার এলাকায় অধ্যাপককে মারধর - dainik shiksha শহীদ মিনার এলাকায় অধ্যাপককে মারধর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী সময়মতো যথাযথ অ্যাকশন নেয়া হবে : কাদের - dainik shiksha সময়মতো যথাযথ অ্যাকশন নেয়া হবে : কাদের সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই: ঢাবি উপাচার্য - dainik shiksha সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই: ঢাবি উপাচার্য যারা নিজেদের রাজাকার বলেছে তাদের শেষ দেখে ছাড়বো - dainik shiksha যারা নিজেদের রাজাকার বলেছে তাদের শেষ দেখে ছাড়বো সায়েন্সল্যাবে কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ - dainik shiksha সায়েন্সল্যাবে কলেজ শিক্ষার্থীদের অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে - dainik shiksha র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা কলেজগুলোর নাম এক নজরে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0059950351715088