দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েকদিনের অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন কৃষক জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতের শিকার হন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসি।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে। প্রদেশটিতে শুক্রবার থেকে রবিবারের মধ্যে বজ্রপাতে ২১ জন নিহত হয়েছে।
এএফপি আরো জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে অন্তত আটজন নিহত হয়েছে, যেখানে কর্তৃপক্ষ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। সোম-মঙ্গলবার প্রদেশের স্কুলগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বালুচ উপকূলীয় শহর পাসনির বিস্তীর্ণ এলাকা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। শহরের মিউনিসিপ্যাল কমিটির চেয়ারম্যান নুর আহমেদ কলমতি পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনকে বলেছেন, ‘পাসনিকে এই মুহূর্তে একটি বড় হ্রদের মতো দেখাচ্ছে কারণ আকস্মিক বন্যা মানুষের বসতি এবং প্রধান বাণিজ্যিক এলাকায় প্রবেশ করেছে।’
এছাড়া দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখাওয়ায় মুষলধারে বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যার কারণে ভূমিধস হয়েছে। এতে বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং গাছ উপড়ে গেছে বলে প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
এদিকে আগামী কয়েক দিনে আরো বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। ফলে আরো ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার বিষয়ে সতর্ক করেছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষও।
এর আগে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে নজিরবিহীন বন্যায় দেশটির এক-তৃতীয়াংশ সম্পূর্ণভাবে বন্যায় নিমজ্জিত হয়েছিল। সেই বন্যায় ১৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছিল।