পাঠ্যপুস্তক সংশোধন নির্বাচন পরবর্তী প্রথম কর্তব্য হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।
তিনি বলেন, আমরা কিছু প্রাক-নির্বাচনী ও নির্বাচন পরবর্তী কিছু কাজকে ভাগ করেছি। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়ে গেলে এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আবারো আমরা এগিয়ে যাব সেই প্রত্যাশাটা আমাদের রয়েছে। সেই সঙ্গে আমরা যে পরিমাণ কাজ করেছি, মানুষের কাছে শুধু সেই বার্তাগুলো নিয়ে গেলেই হবে। সেখানে আমরা পাঠ্যপুস্তক সংশোধনকে প্রথম কর্তব্য হিসেবে বিবেচনা করেছি। নির্বাচনের পর প্রথম কাজ হিসেবে এটিকে রাখা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে শোকাবহ আগস্টে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভাতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, আমাদের সার্বজনীন যে শিক্ষা দরকার ছিলো সেটির বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন আমাদের দরকার কোয়ালিটি শিক্ষা। যেন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলে চলতে পারে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে যে স্মার্ট বাংলাদেশ ডাক দিয়েছেন। তাতে জাতি বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে আত্মমর্যাদাশীল জাতিতে পরিণত হবে। যারা শুধু নিজেকে নয়, বিশ্বকেও সাহায্য করে। নেপাল, তুরস্ককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহায্য করেছেন। ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দে যে উন্নত বাংলাদেশ হবে, সে বাংলাদেশের দায়িত্ব কে নেবে। তাঁদেরই তৈরি করবে এই শিক্ষকরা। এটি সাধারণ মানুষদের বোঝাতে হবে।
এসময় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আনোয়ারুল ইসলাম তোতার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. গাজীউল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আগত উল্লেখযোগ্য শিক্ষক নেতা মনিরুল হক, জুলফিকার আলী প্রামাণিক, কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া বক্তব্য রাখেন।