পাঠ্যবইয়ের প্রচ্ছদে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও টানেলের ছবি দিয়ে স্বজাতির প্রতি আরও আগ্রহী করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, ‘পাঠ্যবইয়ে যেমন মুসলিম ইতিহাস ও স্বাধীনতা আন্দোলনের বিকৃতি ঘটানো হয়েছে, তেমনি শিশুদের মনে বিকৃত মানসিকতা ঢুকিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বইয়ের মধ্যে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির ছবি দেওয়ার কথা। যেমন কভার পেজগুলোতে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, টানেল এসব ছবি দিয়ে স্বজাতির প্রতি আরও আগ্রহী করার কথা ছিল। যাতে সাধারণ মানুষের দেশের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয়। তা না করে শিশুদের বাদরামি শেখানোর কৌশল করা হয়েছে।’
শুক্রবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত নগর সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চরমোনাই পীর আরও বলেন, ‘যে দেশে আজানের শব্দে শিশুদের ঘুম ভাঙে এবং ঘরে ফেরে, জুমার দিনে মসজিদে জায়গা হয় না। সেই দেশে কোথা থেকে বানর জাত এসে আজকে মুসলমানদের ঈমান ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে। আমরা প্রতিবাদ না করে বসে বসে তা দেখবো, এটা হতে পারে না।’
সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই। ন্যায়ের পথে কথা বলার কোনো অবস্থা নেই। আমরা আজ নিষ্পেষিত। নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে লাগামহীন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে। মানুষ না খেয়ে অর্ধাহারে দিনযাপন করছে। এটা সহ্য করা যায় না।’
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারি মাওলানা মো. আরিফুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা মো. নুরুল ইসলাম নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. মুরাদ হোসেন প্রমুখ।