ঝালকাঠিতে থামছে না পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর মিছিল। মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় সচেতনতামূলক প্রচারণায় নেমেছে তথ্য অফিস। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, পারিবারিক সচেতনাই ঠেকাতে পারে এ অনাকাঙ্খিত শিশু মৃত্য।
গত ৭ মার্চ ঝালকাঠি সদরের ধানসিড়ি নদীতে ডুবে দশ বছর বয়সী আব্দুল্লাহ ও আট বছর বয়সী আমানুল্লাহ নামের দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়। চোখের সামনে দুই শিশু ছেলের
গত ৪ জুন জেলার কাঠালিয়া উপজেলার আমুয়ায় গ্রামে বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে ডুবে মাইশা ও হালিমা নামের দুই চাচাতো ভাই-বোনের মৃত্যু হয়। আমুয়া বন্দরের শাহাবুদ্দিনের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে মাইশা (৮) ও তার ভাই হুমায়ুনের মেয়ে হালিমা আক্তার (৫) দুপুরে বাড়ির পেছনের ডোবায় পরে তলিয়ে যায়।
গত ঈদুল ফিতরে নানা বাড়িতে এসে জেলা সদরের নবগ্রামে দুই বোনসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে পানিতে পাড়ে মারা যায় ৫ শিশু। সেসব পরিবারে এখনও কান্নার রোল থামেনি।
সমাজকর্মী তালাশ মাহামুদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের নেই কোনো ডুবুরি দল। পানিতে ডুবে শিশুরা নিখোঁজ হলে বরিশাল থেকে ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করতে যে সময় লাগে তাতে শিশুটিকে আর বাঁচানো সম্ভব হয় না।
তবে ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. ফিরোজ কুতুবী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ডুবে যাওয়ার মাত্র তিন মিনিটের মধ্যেই শ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ হয়ে মানুষের মৃত্যু হয়। সে ক্ষেত্রে পারিবারিক সচেতনতাই একমাত্র এ মৃত্যু রোধ করতে পারে।
জেলা তথ্য অফিসার আহসান কবীর দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গত কয়েক মাসে জেলা জুড়ে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে, যা চরম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুম ও ঈদুল আজাহার ছুটির বিষয়টি মাথায় রেখে শহর ও গ্রামে জনসচেতনাতামূলক মাকিংসহ বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা ও উঠোন বৈঠকের আয়োজন করা শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নদী নালা আর খালবিল ঘেরা ঝালকাঠি জেলা জুড়ে প্রতি মাসেই ঘটছে পানিতে ডুবে এমন শিশু মৃত্যুর হৃদয় বিদারক ঘটনা। সাঁতার না জানা ৩ থেকে ১০ বছরের শিশুরাই এ দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। গত তিন মাসে ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন স্থানে পানিতে ডুবে প্রাণ হারানো শিশুর সংখ্য ১৫ জনেরও বেশি।