দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: মানুষের মস্তিষ্ক শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে বার্তা পাঠাতে ব্যবহার করে ডোপামিন। এটা তখনই হয় যখন মস্তিষ্কের একটি অংশ ঠিকমতো কাজ করে না। এর ফলে মানুষের শরীরে বিভিন্ন বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত হলে মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, বিশেষ করে হাত ও পা কাঁপতে থাকে। এর ফলে হাঁটাচলাতেও সমস্যার সৃষ্টি হয়।
চিকিৎসা
১. প্রথমেই বুঝতে হবে এই রোগ নিরাময় অযোগ্য।
২. প্রয়োজনে নিউরোলজিস্ট তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।
৩. সেই সঙ্গে প্যালিয়েটিভ কেয়ারের ভূমিকা ক্রমশই বাড়তে থাকবে। যেদিন থেকে রোগ শনাক্ত হচ্ছে, মনে রাখতে হবে সেদিন থেকেই প্যালিয়েটিভ কেয়ারের প্রয়োজন হবে।
৪. প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপি নেওয়া যায়।
৫. যেহেতু অনিয়ন্ত্রিতভাবে হাত বা মাথা বা শরীরের কোন অঙ্গ নড়তে থাকে, তাই অনেক সময় এই মানুষগুলোকে সমাজ বিচ্ছিন্ন করে ফেলার প্রবণতা দেখা যায়।
৬. মনে রাখা প্রয়োজন এই মানুষগুলোও আর দশটা মানুষের মতোই মমতা এবং যত্ন পাওয়ার দাবিদার।
৭. বর্তমানে জনস্বাস্থ্যের ‘মমতাময় সমাজ’ তত্ত্ব বলে, এই মানুষগুলোকে যত্ন করার দায়িত্ব সমাজের সুস্থ মানুষদের। শুধু তাই নয় প্যালিয়েটিভ কেয়ার বলে ভুক্তভোগী রোগীর সাথে তার পরিবারের যত্ন করার দায়িত্ব সমাজের।
ঝুঁকি কমানোর জন্য করণীয়
১. বিষাক্ত সামগ্রী পরিহার করা। যেমন: কীটনাশক, কৃত্রিম নানাবিধ রাসায়নিক বস্তু ইত্যাদি
২. গবেষণা বলছে নিয়মিত ব্যায়াম এই রোগের ঝুঁকি কমায়।
৩. সতেজ ফল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত শস্যদানা, সিম, মটর, বিভিন্ন বাদাম, পনির, জাতীয় ডাল, জলপাই তেল, অল্প পরিমাণ মাছ, মাংস বা ডিম, অধিক পরিমাণে সামুদ্রিক মাছ এবং সবজি এই রোগের ঝুঁকি কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। যদিও বাংলাদেশে বিভিন্ন কারণে সামুদ্রিক প্রকৃতি বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে।
লেখক: অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া, চিকিৎসক, কাউন্সিলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাক্টিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার, বাংলাদেশ