বেসরকারি স্কুল ও কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলির সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত। গত সপ্তাহে জারি করা প্রজ্ঞাপনও থমকে আছে। গত ১ নভেম্বর এবারের বদলির আবেদন চালু হলেও পরদিন ২ নভেম্বর রাত থেকে প্রক্রিয়াটি স্থগিত রাখা হয়েছে।
সব পক্ষের স্বার্থরক্ষার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে শিগগিরই নতুন প্রজ্ঞাপন জারি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পারস্পরিক বদলি পুরোপুরি বাতিল না হলেও কিভাবে বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত রাখা যায় তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন দায়িত্বশীলরা। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র দৈনিক আমাদের বার্তাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত ৩০ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১ আগস্টের এক চিঠিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘বেসরকারি স্কুল ও কলেজে কর্মরত শিক্ষকদের পরস্পারিক বদলি সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৪ জারি করা হয়। এই নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৩ এ বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ'র মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য এ নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। অনুচ্ছেদ ৪ এ বদলির সাধারণ শর্তাবলীতে উল্লেখ করা হয়, শুধু সমপদে কর্মরত দু'জন শিক্ষকের লিখিত সম্মতিপত্রসহ পারস্পরিক বদলির অবেদনই বিবেচনা করা হবে।
চাকরির আবেদনে উল্লেখিত নিজ জেলা ছাড়া অন্য জেলায় বদলির জন্য আবেদন করা যাবে না।
তবে মহিলা আবেদনকারীরা স্বামীর জেলায় বদলির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের চাকরি দুই বছর পূর্ণ হলে বদলির আবেদন করা যাবে। অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্য সম্বলিত আবেদন বিবেচনাযোগ্য হবে না এবং চাকরি জীবনে কেবল একবার বদলি হওয়ার সুযোগ থাকবে।
প্রসঙ্গত, গত ১১ আগস্ট এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলি নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।