স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিক হবে প্রযুক্তি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানে দক্ষ। তাই পুলিশ বাহিনীকেও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর একটি যুগোপযোগী বাহিনী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ মাঠে বার্ষিক পুলিশ প্যারেডে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও সব বাঁধা ডিঙিয়ে ২০৪১ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে বাংলাদেশ স্মার্ট ও সমৃদ্ধ হবে। কোনো প্রতিবন্ধকতাই যেনো বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বাধা না হয়। তাই, সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণের আস্থা অর্জন করা যেকোনো বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা ইতোমধ্যে পুলিশ অর্জন করেছে। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জঙ্গি, সন্ত্রাস এবং মাদক নির্মূলের পাশাপাশি বিদেশী শান্তি মিশনেও গুরুত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। দেশের মানুষের সেবায় এই বাহিনীর সদস্যদের আরও মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুলিশের কল্যাণে নেয়া তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা এসময় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বিভাগীয় শহরে সরকার পুলিশ হাসপাতাল করার পরিকল্পনা করছে বলেও জানান তিনি।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বপ্নের সোনার বাংলা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা যেনো কোনোভাবে ব্যাহত না হয় সেদিকে সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের সুশৃঙ্খল ও দৃষ্টিনন্দন বর্ণিল প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। পুলিশে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এ বছর ১১৫ জনকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক-বিপিএম ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক-পিপিএম দেওয়া হয়। এ বছর র্যাব থেকে পদক পেয়েছেন ১৮ সদস্য। আর কর্মক্ষেত্রে জীবন আত্মত্যাগ করেছেন এমন চারজনকে দেওয়া হচ্ছে বিপিএম সাহসিকতা পদক।