ঝালকাঠির রাজাপুরে পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়াসহ ওয়ারেন্টভুক্ত এক আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আসামির পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ধস্তধস্তিতে পুলিশের দুই এএসআই ও এক কনেস্টেবল আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে, হাতকড়াসহ আসামি ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করছে পুলিশ। তারা বলছেন, হাতকড়া পড়ানোর আগেই আসামি পালিয়ে গেছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার পিংড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছিনিয়ে নেয়া ওই আসামির নাম মো. জহিরুল ইসলাম সোহেল। সে উপজেলার পিংড়ি এলাকার মো. ফজলুল হক মাষ্টারের ছেলে ও ঝালকাঠি জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক।
স্থানীয়রা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সকালে জহিরুল ইসলাম সোহেল তার বাড়িতে ঈদ উপলক্ষে যাকাতের কাপড় বিতরণ করছিলেন। থানা পুলিশ বাড়িতে উপস্থিত হয়ে সোহেলের হাতে হাতকড়া পড়ালে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে পুলিশে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এই ফাঁকে সোহেল হাতকড়াসহ পালিয়ে যায়। ধস্তাধস্তিতে পুলিশের এএসআই মো. নুরুজ্জামান, এএসআই মো. রেজাউল ও কনেস্টেবল মো. জাকির আহত হন।
পরে থানা থেকে আরো অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে আটজন নারী ও একজন পুরুষকে আটক করে পুলিশ। তবে তাদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করেনি পুলিশ। কয়েক ঘন্টা পরে আসামির পক্ষ থেকে হাতকড়া থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আসামি ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় নয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় আনা হয়েছে। ছিনিয়ে নেয়া আসামিকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) সার্কেল মো. মাসুদ রানা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, হাতকাড়া পড়ানোর আগেই আসামিকে ছিনিয়ে নেয় পরিবারের লোকজন।