নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বরিশাল পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের ৬টি গাছ কর্তন করা হয়েছে। দরপত্র আহবান না করে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ রুহুল আমিন কয়েক লাখ টাকা মূল্যের গাছগুলো গোপনে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে গাছ কর্তনের বিষয়টি স্বীকার করলেও বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
অধ্যক্ষের বক্তব্য, একটি গাছ ঝড়ের সময় উপড়ে পড়েছে, আর বাকি গাছ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের আসবাপত্র তৈরি করা হবে। তাই সেগুলো কাটা হয়েছে।
বুধবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরিশাল পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউট ক্যাম্পাসের ভেতরে বড় বড় ছয়টি গাছ কাটছেন দিনমজুররা। তখন তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের অধ্যক্ষ তাদের দৈনিক হাজিরা চুক্তিতে গাছ কাটার জন্য বলেছেন। এর বাহিরে কিছুই জানেনা তারা।
বন বিভাগের বরিশাল বিভাগীয় প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, যে কোনো প্রতিষ্ঠানেই গাছ কর্তন করতে হলে বন সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ‘খ’ ফরমে আবেদন করতে হয়। তারপর বন বিভাগের একজন কর্মকর্তা গাছের মূল্য নির্ধারন করবে এবং দরপত্র আহবানের জানিয়ে গাছ বিক্রি করবে।
এই বন কর্মকর্তা আরো জানান, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বরিশাল পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের অধ্যক্ষ পূজার ছুটির সুযোগে গাছগুলো বিক্রি করেছে বলে শুনেছেন তিনি।