সময়কে ব্যক্তিগত উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারলে পেশাগত দিক দিয়ে আপনি অনেকের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাডভান্স ইংলিশ, যোগাযোগের মতো প্রয়োজনীয় কোর্স আপনাকে পেশাগত জীবনে অনেকের থেকে এগিয়ে রাখবে।
নিয়মিত পাঠাভ্যাস
শেখার জন্য নিয়মিত পড়া সবচেয়ে কার্যকর পন্থা। নিয়মিত পড়ার মাধ্যমে যে কৌশলগত জ্ঞান অর্জন করবেন, তা কর্মজীবনে আপনাকে এগিয়ে রাখবে।
নতুন শখ
পরিবার ও কর্মজীবনের পাশাপাশি নিজের জন্য একটু সময় বের করা জরুরি। একঘেয়েমি কাটাতে, কর্মজীবনের ভারসাম্য তৈরির জন্য দু-একটি শখ থাকা অপরিহার্য। নিজেকে দেয়া সময়টুকু কীভাবে কাটাবেন, তা ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। নতুন কিছু শেখা বা নিজেকে সময় দেয়া আত্মোন্নয়নের একটি বিশেষ দিক।
প্রশিক্ষণ গ্রহণ
স্বীয় চেষ্টায় নতুন কোনো দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ বা কোনো ক্লাসের যোগদান অভিজ্ঞতার কাঠামো যোগ করতে পারে। পাঠ্যক্রমবহির্ভূত পাঠ বা কোম্পানি-স্পন্সর প্রশিক্ষণ সেশনের জন্য সাইনআপ করলে একজন বিশেষজ্ঞের সাহায্যে পূর্ণ দক্ষতা অর্জন সম্ভব। দেখা যাবে আপনার এই অর্জিত দক্ষতা পরবর্তী কর্মজীবনে কোনো একসময় কাজে লেগেও যেতে পারে।
চাহিদা ও দক্ষতার সমন্বয়
পেশাজীবনে অগ্রসর হওয়ার দিকে মনোনিবেশ করলে উন্নত অবস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট দক্ষতাগুলো শনাক্ত করে রপ্ত করে নিলে নিজেকে উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে। দক্ষতার দিকে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে, যা আপনাকে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে সহায়তা করবে। যে পেশায় কর্মরত, তার ওপর আরো দক্ষতা অর্জন করতে সমসাময়িক প্রকাশনা পড়া, ট্রেনিং গ্রহণ, দক্ষতা অর্জন অনেকের চেয়ে এগিয়ে রাখবে।
নতুন সময়সূচি
নতুন সময়সূচি তৈরি করে কীভাবে আপনার সময় ব্যবহার করেন সে সম্পর্কে একটি ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নেয়া যেতে পারে। নতুন কিছু শেখা বা বাড়তি দক্ষতা উন্নতির জন্য সময় আলাদা করতে পুরো সপ্তাহে এক ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করা যেতে পারে।
রুপচর্চার জন্য সময় বরাদ্দ
নিয়মিত ব্যায়াম স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, কর্মক্ষেত্রে ও এর বাইরে একটি উন্নতমানের জীবনযাত্রায় অবদান রাখে। নিয়মিত ব্যায়াম মন শিথিল করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে চার-পাঁচ দিন নির্দিষ্ট সময় শরীরচর্চা করা উচিত। জিম, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, ইয়োগার মধ্য থেকে পছন্দমাফিক ধরন বেছে নেয়া যেতে পারে। প্রক্রিয়াটিকে আনন্দদায়ক করতে কাউকে ওয়ার্কআউট পার্টনার বানিয়ে নিলে ভালো।
লক্ষ্য নির্ধারণ
একটি সাধারণ দিনে কয়েকটি ছোট লক্ষ্য থাকতে পারে। যেমন- সময়মতো কর্মস্থলে পৌঁছানো, একটি প্রকল্প শেষ করা, পরিবারের সঙ্গে রাতের খাবার খাওয়া, একসঙ্গে আড্ডা দেয়া, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করা পর্যন্ত সবকিছু এর অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যও থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আগামী পাঁচ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান তা নির্ধারণ করুন এবং লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে করণীয় কাজগুলো নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়নে নেমে পড়ুন।
মানসিকতায় পরিবর্তন আনা
নিজের চিন্তার ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন। আপনি কী নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং কী পারেন না, তা জানা থাকলে জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহজ হবে।
মেন্টর
যখন পথ দেখানোর জন্য একজন গাইড থাকবে, তখন স্ব-উন্নতির জন্য প্রচেষ্টা করা আরো ফলপ্রসূ হবে। পেশাদার অনুপ্রেরণা বা বিশেষজ্ঞের সহায়তা জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম।