প্রকৌশল গুচ্ছের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হবে আগামী ১৭ জুন। তার আগে এ গুচ্ছে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ১০ মে থেকে। এই তিন বিশ্ববিদ্যালয় হল, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)।
বুধবার চুয়েটের সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।
মঙ্গলবার চুয়েট-কুয়েট-রুয়েট কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির এক সভায় ভর্তি কার্যক্রমের তারিখ চূড়ান্ত করা হয় বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১০ মে সকাল ৯টা থেকে ভর্তি আবেদন শুরু হয়ে চলবে ২২ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। আবেদন ফি জমা দেয়া যাবে ২৩ মে রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এরপর ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্য প্রার্থীদের রোল নম্বর ও পরীক্ষা কেন্দ্রসহ নামের তালিকা প্রকাশিত হবে ০৩ জুন। আর প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু হবে ০৪ জুন থেকে।
তিনটি প্রকৌশল গুচ্ছের ‘ক’ গ্রুপের অধীনে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা। আর ‘খ’ গ্রুপের অধীনে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলো, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগের আবেদন ফি ১ হাজার ৩০০ টাকা।
‘ক’ এবং ‘খ’ গ্রুপের জন্য গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন বিষয়ে (২০২২ খ্রিষ্টাব্দের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পাঠ্যসূচী অনুযায়ী) ও ইংরেজি (Functional English) এর ওপর এমসিকিউ পদ্ধতিতে এবং ‘খ’ গ্রুপের স্থাপত্য বিভাগের জন্য মুক্তিহস্ত অংকন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
‘ক’ গ্রুপের ৫০০ নম্বরের পরীক্ষা ১৭ জুন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আর ‘খ’ গ্রুপের ৭০০ নম্বরের ১০টা থেকে দুপুর ১ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধাতালিকা প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ পছন্দ প্রদানের নির্দেশনা, ভর্তি নিয়মাবলী ও ভর্তি তারিখ প্রকাশিত হবে ৮ জুলাই।
আসনের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) মোট আসন রয়েছে ৯৩১টি। এর মধ্যে ৯২০ সবার জন্য আর ১১টি আসন রয়েছে সংরক্ষিত। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) মোট আসন রয়েছে ১ হাজার ৬৫টি। সবার জন্য উন্মুক্ত আসন সংখ্যা ১০৬০টি। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) সর্বোচ্চ ১ হাজার ২৩৫টি আসন রয়েছে। রুয়েটে সবার জন্য উন্মুক্তি আসন সংখ্যা ১ হাজার ২৩০টি। কুয়েট এবং রুয়েটে সমান সংখ্যক ৫টি করে মোট ১০টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে।