যশোরের চৌগাছায় এইচএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন এক ছাত্র। প্রথমে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়। সেই সঙ্গে প্রকৃত পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এঘটনায় ভুয়া পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কেন্দ্রে সচিব বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
রোববার এইচএসসি বিএম শাখার পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষার প্রথম দিনে উপজেলার সরকারি কলেজ কেন্দ্রে একই উপজেলার তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। এই পরীক্ষায় বিএম শাখার দ্বিতীয় বর্ষের প্রবাসী শিক্ষার্থী আলী রেজার হিসাব বিজ্ঞান নীতি ও প্রয়োগ পরীক্ষা দিতে যায় উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নের বড়কাবিলপুর গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে সুমন হোসেন।
কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষা চলার সময় উপজেলা সহকারী আইসিটি প্রোগ্রামার আশরাফুল ইসলাম ও এটিও হায়দার আলী ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। কেন্দ্র পরিদর্শনকালে উপজেলা সহকারী আইসিটি প্রোগ্রামার আশরাফুল ইসলামের সন্দেহ হয়। তিনি ওই পরীক্ষার্থীকে চ্যালেঞ্জ করেন। পরে বিষয়টি কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষকদের জানানো হয়। পরে সুমনকে জিজ্ঞাসা করে এবং প্রবেশপত্র যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হয় যে সে অন্যের পরীক্ষা দিচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায় সুমন জানায় সরকারি কলেজের এক জন শিক্ষক তাকে ডেকে নিয়ে এসেছে। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি ভুয়া পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে পুলিশে দেয়ার নির্দেশ দেন কেন্দ্র সচিবকে। এবং একই সাথে প্রকৃত পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার্থীকে সব পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করার জন্য বলেন।
এদিকে স্থানীয়রা বলেছেন, একটি চক্র অনেক দিন ধরে পরীক্ষা কমিটিকে মোটা অঙ্কের টাো দিয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেয়াসহ পরীক্ষা কেন্দ্রে নানা অনিয়ম করে আসছে। এইচএসসি পরীক্ষার সময় উপজেলায় কলেজগুলোর শিক্ষকরা অনিয়মের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েন। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজের শিক্ষার্থী আলী রেজা দেশে থাকেন না। সে অনেকদিন আগেই বিদেশ চলে গেছে।
তরিকুল ইসলাম পৌর কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটু দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, তার অভিভাবক এসে প্রবেশপত্র নিয়েছেন। যে কারণে আমরা জানতে পারিনি সে কোথায় থাকেন। তার পরিবর্তেকে পরীক্ষা দিয়েছে তা কেন্দ্রের ব্যাপার।
সরকারি কলেজ কেন্দ্রের সচিব কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম কবির ও চৌগাছা থানার ডিউটি অফিসার কামাল হোসেন ওই শিক্ষার্থীর মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজ ও কেন্দ্রে বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে। সেখানে কারো জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।