নরসিংদীর চরাঞ্চলে এক বাক ও মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক মাদরাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
গত শনিবার দুপুরে নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালী বাজারের মদিনা মেডিক্যাল হলের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রোববার রাত সাড়ে ৯টায় ওই তরুণীর ভাই নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে ধর্ষক আব্দুর শাক্কুকে (৪৫) আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
আটক শাক্কু আলোকবালী ইউনিয়নের আলোকবালী গ্রামের উত্তর পাড়া মহল্লার মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে। তিনি আলোকবালী ইসলামিয়া সুন্নি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক।
অপরদিকে নির্যাতিতা তরুণী ওই বাক ও মানসিক প্রতিবন্ধী তরুণী আলোকবালী গ্রামের পূর্বপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ওই তরুণী শনিবার দুপুর ১টার দিকে আব্দুর শাক্কুরের মালিকানাধীন মদিনা মেডিক্যাল হলে ওষুধ নিতে যায়। দুপুরের সময় বাজার অনেকটা ফাঁকা থাকায় লম্পট শিক্ষক ওই প্রতিবন্ধী তরুণীকে ওষুধ দেয়ার ছলে তার দোকানের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
পরে ওই তরুণী সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে এসে তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়। এ ঘটনায় ওই তরুণীর বড় ভাই নায়েস মিয়া এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে প্রভাবশালীদের মাধ্যমে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায় ধর্ষক আব্দুল শাক্কুর। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিচারের নামে টালবাহানা করতে থাকলে রোববার রাত সাড়ে ৯টায় নরসিংদী সদর মডেল থানায় নায়েস মিয়া অভিযোগপত্রটি দায়ের করেন।
অভিযোগ দায়েরের পর নরসিংদী সদর মডেল থানার পুলিশ আলোকবালী এলাকায় গিয়ে ধর্ষক আব্দুল শাক্কুরকে আটক করে এবং ওই তরুণীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। তবে ধর্ষক আব্দুল শাক্কুর আটকের বিষয়টি রহস্যজনকভাবে এড়িয়ে যায় থানা পুলিশ।
নরসিংদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও গ্রেপ্তারের বিষয়টি এড়িয়ে যান।