প্রত্যাশা স্বচ্ছ বিচারব্যবস্থা, যেখানে থাকবে না বৈষম্য - দৈনিকশিক্ষা

প্রত্যাশা স্বচ্ছ বিচারব্যবস্থা, যেখানে থাকবে না বৈষম্য

প্রশান্ত কুমার কর্মকার |

জনগনের প্রত্যাশা পুরনের একটা সুন্দর বাংলা বিনির্মাণ করবেন এই সরকার। যেখানে থাকবে না জাতি ধর্মের বৈষম্য। সুদুরপ্রসারী শিক্ষা ব্যবস্থা। দুর্নীতি ও শোষনমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা। সংবিধানের আলোকে গণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। দল মতের উর্ধেব প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকে কাজ করবে। ৮ আগস্ট প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ বাংলাদেশ সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পক্ষে মতামত দেওয়ার এর ৯ আগস্ট রাষ্ট্রপতি অন্তবর্তীকালীনসরকার গঠন করেন। 

 প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর যে সাংবিধানিক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল, তার অবসান হয় আপীল বিভাগ মতাতম দেওয়ার পর। প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর সংসদ না থাকা অবস্থায় অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা যায় কি না, এ বিষয়ে সুপ্রীম কোর্টে আইন,বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে পাঠান রাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ  বাংলাদেশ সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পক্ষে মত দেন এবং রুলিং দেন। এরপরই  জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি।

সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ এ বলা আছে- যদি কোনও সময়ে রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হয় যে, আইনের এই রুপ কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হইয়াছে বা উত্থাপনের সম্ভবনা দেখা দিয়াছে, যাহা এমন ধরনের ও এমন জনগুরুত্ব সম্পন্ন যে, সেই সর্ম্পকে সুপ্রীমকোর্টের মতামত গ্রহন করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি প্রশ্নটি আপীল বিভাগের বিবেচনার জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন এবং উক্ত বিভাগ স্বীয় বিবেচনায় উপযুক্ত শুনানীর পর প্রশ্নটি সর্ম্পকে রাষ্ট্রপতিকে স্বীয় মতামত জ্ঞাপন করিতে পারিবেন। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন পরবর্তী যেভাবে যে আকারে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক ব্যক্তির মুক্তির জন্য আইন আদালতের প্রক্রিয়া অনুসরন করতে  গিয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছেন। আন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে গণ মানুষের প্রত্যাশা বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ তৈরী হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছঅত্র-জনতারবিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গণ মানুষের প্রত্যাশা আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিগত সরকারগুলোর বা আমলের মতো আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করবেন না। ছাত্র-জনতার দাবীর মুখে প্রধান বিচারপতিসহ ৬ বিচারপতি পদত্যাগ করেন। আবার ছাত্র জনতার দাবীর মুখে হাইকোর্ট বিভাগ থেকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়। ৫ আগস্ট সুপ্রীম কোর্ট বারের সভাপতি বির্তকিত বিচারপতিদের স্বেচ্ছায় চলে যেতে বলেছেন। অন্তবর্তীকালীন সরকারের এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কাছে দেশ ও জাতি এমন কিছু প্রত্যাশা করেন না যা বির্তকের জম্ম দেয়।   
স্বাধীনতা পরবর্তী বিগত সরকারের আমলগুলোতেও সংখ্যালঘু নির্যাতন,অত্যাচার হয়েছে। হিন্দুরা দলে দলে দেশ ত্যাগ করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই বলা হয়েছে, বিছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অনগ্রসর গোষ্ঠী বিচারের দাবীতে, সুরক্ষার দাবীতে রাস্তায় নেমে এসেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আশা এবার বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলার সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসবেন এবং অপরাধীদের আইনের আওয়াতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করবেন।   

বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রনেতা ও গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন সম্প্রতি দৈনিক প্রথমআলোকে বলেছেন, আগে অনেক ভুল হয়েছে। সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেটি এই সরকারের কাছে প্রত্যাশা। আশা করি, সরকার ভালো কাজ করবে।

অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মসদ ইউনুসকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সঙ্গে ছবি ও সখ্যতার প্রকাশের হিড়িক পড়ে যায়। এরপরই পত্রিকাসহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপনসহ বা অন্যকোনো প্রচারণায় অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের ছবি ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটি সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত।  
অন্তবর্তী সরকার গঠনের পর ৯ আগস্ট রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তবর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম অনানুষ্ঠানিক  বৈঠকের পর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কীভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়,সমস্যার সমাধান যত দ্রুত করা যায়, সেই আলোচনা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা উন্নতির ক্ষেত্রে সবাই যেন পুলিশকে সাহায্য করেন। ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর আক্রমণ হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, আদিবাসী বা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব করে এমন সংস্থাগুলোর সঙ্গে মিলে আপাতত একটি রক্ষাবলয় সৃষ্টি করার চেষ্টা করার কথাও বলেছেন।  বির্তকিত আইন ও স্বাধীন মত প্রকাশের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। উচ্চ আদালতে বিচারকাজ বন্ধ আছে। এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে কত দ্রুত বিচারকাজ শুরু করা যায়, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এই কাজটি যত দ্রুত শুরু করা যায় ততই বিচার অঙ্গনের জন্য মঙ্গল।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এক সংবাদ সম্মেলন করে কোনো বিচারপতির নাম উল্লেখ না করে  বির্তকিত বিচারপতিদের সেচ্ছায় চলে যেতে বলেন, তা না পরবর্তী নামের তালিকা ঘোষণা প্রকাশ করা হবে সংবাদ সম্মেলনের জানানো হয়। ৮ আগস্ট সংবাদ সমম্মেলন করে আওয়ামীলীগ সরকার আমলে নিয়োগ পাওয়া ৫০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। আইনজীবীদের একটি অংশ  নিম্ন আদালতের বিচারক নামের তালিকা করার আওয়াজ তোলেন। এতে করে বিচারকদের মধ্যে এক প্রকার অস্থিরতা বিরাজ করছে।  ৯ আগস্ট জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও মহাসচিব ব্যরিস্টার কায়সার কামাল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ৮ আগস্ট আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুবের সংবাদ সমম্মেলের বরাদ দিয়ে বলা হয়, হাইকোর্টবিভাগের যে ৫০ জন বিচারপতির পদত্যাগদাবী করেছেন, তার সঙ্গে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কোনো সর্ম্পক নেই। বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম স্বাধীন বিচার বিভাগ ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী। নেতৃবৃন্দ এ ধরনের বিভ্রান্তিমুলক সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে সবাইকে অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান। 

১৯৭৫ পরবর্তী সামরিক শাসনামলে সংবিধান কাটাঁছেড়া হয়েছে।  এরশাদ আমলে সপ্তম সংশোধনীর মাধ্যমে তাকে বৈধতা দেয়া হয়েছিল। ৯০ এর গণঅভূথানের স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতনের পর বিএনপি ক্ষতায় আসে। বিএনপি জাময়াত জোট সরকার আমলে আবার সংবিধানের কাটা ছেঁড়া হয়। আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে ২০০৭ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে সরিয়ে সেনা-সমর্থিত’ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। সেনা সমর্থিত সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের অষ্টম জাতয়ি সংসদ নির্বাচন হয়। এতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন। বেগম খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা হন।  আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার আমলে ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জিয়াউর রহমানের আমলে করা পঞ্চম সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করেন সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ। 

তৎকালীন প্রধান বিরোধীদল বিএনপি বাদ রেখেই সংবিধান সংশোধনের জন্য ২০১০ সালের ২১ জুলাই তৎকালীন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে চেয়ারপারসন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে কো-চেয়ারম্যান করে বিশেষ কমিটি করা হয়।  ওই কমিটি নির্বাচনকালীন তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধি ও নানা শ্রেণিপেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বিএনপি তখন সাড়া দেননি। বৈঠকে অংশ নেওয়া  দলগুলোর অধিকাংশ সংস্কারসহ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল রাখার পক্ষে মতামত দেন। 

২০১১ সালের ৫ জুন কমিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাদ দিয়ে সংবিধান সংশোধনের সুপারিশ চূড়ান্ত করে তা  ৮ জুন স্পিকারের কাছে পাঠায়। সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব কমিটির চূড়ান্ত সুপারিশ পঞ্চদশ সংশোধনী বিল তৎকালীন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ সংসদে উত্থাপন করেন এবং  ৩০ জুন তা পাশ হয়। সেইদিন  বিএনপি-জামায়াতের সংসদ সদস্যরা অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন। ২০১০ সালে প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির মধ্যে তিনজন এবং ১০ অ্যামিকাস কিউরির মধ্যে আটজন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বিপক্ষে মতামত দেন। কিন্তু রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতেই ত্রয়োদশ সংশোধনীতে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। সেদিস পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। এর ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয়ে যায়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে এবং সংসদ বহাল রেখে দলীয় সরকারের অধীন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিধান রাখা হয়। কোটা সংস্কার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন এবং দেশ ত্যাগ করেন। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সরকার গঠন করতে না পারায়  সাংবিধানিক সংকট তৈরী হয়। সেই সংকটদুর করতেই সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগেরকাছে রেফারেনন্স চাওয়া হয়। 
সংবিধানে  কি আছে- 

সংবিধানের ৫৮ (৪) অনুচ্ছেদের বলা হয়েছে- প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করিলে বা স্বীয় পদে বহাল না থাকিলে মন্ত্রীদের প্রত্যেকে পদত্যাগ করিয়াছেন বলিয়া গন্য হইবে: তবে এই পরিচ্ছেদের বিধানাবলী সাপেক্ষে তাহাদের উত্তরাধিকারগণ কার্যভার না করা পর্যন্ত তাহারা স্ব স্ব পদে বহাল থাকিবেন।   

৫৮ এর খ অনুচ্ছেদের (১)“সংসদ ভাংগিয়া দেওয়ার পর বা মেয়ার অবসায়নের কারনে ভঙ্গ হইবার পর বা মেয়াদ অবসায়নের কারণে ভংগ হইবার পর যে তারিখে নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কার্যভার গ্রহন করেন সেই তারিখ হইতে সংসদ  গঠিত হওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী তাহার পদের কার্যভার গ্রহন করার তারিখ পর্যন্ত মেয়াদে একটি নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার থাকিবে। ”    

সংবিধানের ৫৮(ঘ) অনুচ্ছেদে ‘’ নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার হিসাবে ইহার দায়িত্ব পালন করিবেন এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিগনের সাহায্য সহায়তায় উক্তরূপ সরকারের দৈনন্দিন কার্যাবলী সম্পাদন করিবেন, এবং এইরূপ কার্যাবলী সম্পাদনের প্রয়োজন ব্যতিত কোনো নীতি নির্ধারনী সিদ্ধান্ত গ্রহন করিবেন না। ”   

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র এবং দেশ ত্যাগের ফলে দেশে কার্যত সাংবিধানিক শূন্যতার সৃষ্টি হয়।  সেনা প্রধান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে বলেন, সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে জামাতের আমিরসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করা সম্ভব হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পরবর্তী অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনসহ সকল কার্যক্রমের বৈধতা দিতে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আপীল বিভাগের রেফারেন্স বা মতামত চেয়েছেন। এরপর জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়।  কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাহাত্তরের সংবিধানের অনেক কিছু ফিরিয়ে আনা হলেও সামরিক শাসনামলের কিছু বিধান রেখে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতা ও রাষ্ট্রধর্মের অবস্থান রাখা হয়েছে। নতুন এই যুগে ছাত্র জনতার  প্রত্যশা গণতন্ত্র, নির্বাচন বা ভোটাধিকারকে হুমকির মুখে ফেলে সংবিধানের কোনও পরিবর্তন করা হোক। সংবিধানের যেকোনো পরিবর্তন দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে হওয়া উচিত। যেহেতু সংবিধান সংশোধনের সেই সুযোগ রয়েছে। 

 

লেখক: আইনজীবী ও সাংবাদিক

[email protected]

 

প্রাথমিক বিদ্যালয় কবে খুলবে, যা বললেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয় কবে খুলবে, যা বললেন গণশিক্ষা উপদেষ্টা এইচএসসি পরীক্ষা সিলেবাস ও মানবণ্টন অনুযায়ী হবে - dainik shiksha এইচএসসি পরীক্ষা সিলেবাস ও মানবণ্টন অনুযায়ী হবে কারিগরির এসএসসি ও দাখিলের রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়লো - dainik shiksha কারিগরির এসএসসি ও দাখিলের রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়লো এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির কী দরকার - dainik shiksha এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির কী দরকার এমপিও শিক্ষকদের বেতন তুলতে নতুন করণীয় জানালো বোর্ড - dainik shiksha এমপিও শিক্ষকদের বেতন তুলতে নতুন করণীয় জানালো বোর্ড ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ ও এক শিক্ষকের পদত্যাগ - dainik shiksha ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ ও এক শিক্ষকের পদত্যাগ কুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা - dainik shiksha কুয়েটে রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা ‘কাটপেস্ট’ উপাচার্য মশিউরের পদত্যাগ, অজানা কাহিনী পড়ুন - dainik shiksha ‘কাটপেস্ট’ উপাচার্য মশিউরের পদত্যাগ, অজানা কাহিনী পড়ুন দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0055420398712158