দৈনিক শিক্ষাডটকম, জবি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খেলার মাঠ চেয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনি বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলার কোনো মাঠ নেই। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর জানতে পারি আগে একটি মাঠ ছিলো, কিন্তু সেটি এখন বিশ্ববিদ্যালয়য়ের কাছে নেই। এটি দুঃখজনক। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অনেক জোর দেন। সেজন্য আমি টুঙ্গিপাড়া থেকে আপাকে আহ্বান জানাবো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষার্থীদের জন্য খেলার মাঠের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কারণ আমাদের কেরাণীগঞ্জে যে ক্যাম্পাসটা হবে সেটা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সে পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকতে পারে না। সেজন্য আমাদের কিছু বাজেটও প্রয়োজন। আমি আশা করব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও সেদিকে সুনজর দিচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন ও দোয়া চেয়ে মোনাজাত করা হয়। এসময় উপাচার্য বলেন, আমরা শিক্ষকদের নিয়ে জাতির পিতার কবর জিয়ারত করতে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করেছি যেনো আগামী নির্বাচন সুষ্ঠূভাবে সম্পন্ন করতে পারেন এবং এ সরকারই যে ক্ষমতায় আসেন সে প্রতিজ্ঞায় আমরা করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নানামুখী চ্যালেঞ্জের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েরই কিছু না কিছু চ্যালেঞ্জ থাকে। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ব্যাতিক্রমী চ্যালেঞ্জ হলো এটি আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কেরাণীগঞ্জে আমাদেরকে জমি দিয়েছেন। সেখানে ভূমি উন্নয়নের কাজ হবে। সেখানে প্রথমে ছাত্রদের জন্য কয়েকটি হল আগে প্রয়োজন। কারণ আমাদের মেয়েদের জন্য একটি আবাসিক হল ইতিমধ্যে হয়েছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ভৌত কাঠামো যদি ঠিক না থাকে তাহলে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করা কঠিন হয়। আমাদেরে বর্তমান যে ক্যাম্পাসটি আছে সেখানে ডিপার্ট্মেন্ট বেড়েছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা সবই বেড়েছে, অনেক বড় একটি পরিবার হওয়ায় স্থান সংকুলান হচ্ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়কে অ্যাকাডেমিকভাবে এগিয়ে নিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, আমাদের শিক্ষকদের জন্য গবেষণা খাতে গবেষণা ভাতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন করা যাতে তারা ভালো ভালো গবেষণা করতে পারেন। এখানে কোনো বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ নেই। প্রয়োজনে এ ধরণের ফেলোশিপ চালু করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনদের সঙ্গে টিমমেট হিসেবে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড.মো: হুমায়ূন কবীর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক,বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, প্রক্টর, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।