সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ঈদুল ফিতরের আগে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আরও প্রায় ৪০ হাজার ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে দুই শতক জমিসহ আধা-পাকা ঘর হস্তান্তর করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চতুর্থ দফায় এসব ঘর হস্তান্তর করেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেন, “জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তিনিই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আশ্রয় দিতে গুচ্ছগ্রাম করেন। দেশে কোনো ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না, আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। আমি খুবই আনন্দিত চতুর্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৩৬৫ পরিবারকে ভূমি ও গৃহ দিতে পারছি। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারা অনেক আনন্দের।
এ অনুষ্ঠানে মাদারীপুর, গাজীপুর, নরসিংদী, রাজশাহী, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সব উপজেলাসহ সারাদেশের ১৫৯ উপজেলাকে ‘ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত’ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব উপজেলাসহ মোট ৫২ উপজেলাকে ‘ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত’ ঘোষণা করেছিলেন।
সে হিসেবে সব মিলিয়ে নয় জেলা এবং ২১১টি উপজেলা ‘ভূমিহীন-গৃহহীন মুক্ত’ ঘোষণা করল সরকার।
গণভবনের এই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া আশ্রয়ণ কেন্দ্র, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নওয়াগাঁও আশ্রয়ণ কেন্দ্র, বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার বানারীপাড়া পৌরসভার উত্তরপাড় আশ্রয়ণ কেন্দ্রের উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ জনগণের দল। এ দল মানুষের পাশে থাকে। তাদের জন্য কাজ করে। আমাদের একটাই লক্ষ্য, বঙ্গবন্ধুর দেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। আমরা চাই দেশের সবার ঘর-বাড়ি থাকবে।”
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে দুই শতক জমিসহ ঘর দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তিন দফায় ২ লাখ ১৫ হাজার ৮২৭টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।