প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে অংশগ্রহণকে অত্যন্ত সফল হিসেবে বর্ণনা করেছে সরকার।
গতকাল সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘এটি একটি সফল ও ঐতিহাসিক সফর। আমি বলব, এটি বাংলাদেশের জন্য খুবই ইতিবাচক মাইলফলক।’
এ সময় উপপ্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
নিউইয়র্কে চার দিনের সংক্ষিপ্ত অবস্থানে শফিকুল আলম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্বের ১২ শীর্ষ নেতার সঙ্গে অন্তত ৫০টি বৈঠক হয়েছে।
ছয়টি সংস্কার কমিশন ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে কি না জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদ সংস্কারের কাজ শুরু করার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্রুত বসতে চায়। ১ অক্টোবর থেকে কাজ করার কথা থাকলেও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আরেক দফায় আলোচনা করে তাদের মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেহেতু এসব কমিশনের ছয়জন প্রধান আছেন, সেহেতু কিছুটা হলেও কাজ শুরু হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, নিউইয়র্কে তাকে (অধ্যাপক ইউনূস) একজন ‘রকস্টার’-এর মতো সমাদর করা হয়। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে কোনো শীর্ষ নেতার সঙ্গে দেখা হলে তারা হাত বাড়িয়ে এমনভাবে জড়িয়ে ধরতেন যে তিনি নড়াচড়া করতে পারতেন না। সামাজিক বৃত্তে, তিনি শীর্ষ তারকা ছিলেন এবং তিনি ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লব এবং এর লক্ষ্য সম্পর্কে কথা বলার জন্য একটি মুহূর্তও মিস করেননি।
এটি কেন একটি মাইলফলক এবং ঐতিহাসিক সফর ছিল তা ব্যাখ্যা করে প্রেস সচিব গত চার দশকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের নেতাদের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করেন, যখন কিছু আঞ্চলিক নেতার সঙ্গে খুব কম বৈঠক দেখা গেছে। এবার প্রধান উপদেষ্টা অনেকগুলো উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন।
প্রেস সচিব বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তিনি (ড. ইউনূস) যেসব বিশ্ব নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তারা সবাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন এবং তারা সরকারের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক। বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশে পরিকল্পিত সংস্কারকে সমর্থন করেন। তারা সময়সীমা জানতে চায়নি, কারণ তারা জানেন সংস্কার পরিকল্পনা বিবেচনায় নিতে সময় লাগবে।