সিরাজগঞ্জের তাড়াশে বিদায় অনুষ্ঠানের মানপত্র আনতে দেরি হওয়ায় ক্ষুব্ধ সহকারী শিক্ষক ও তার দুই ছেলে মিলে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছেন একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাককে (৪৬)। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার জন্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি তালম ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি তিনি ন্যক্কারজনক এ ঘটনার তীব্র নিন্দাও জানিয়েছেন।
আহত প্রধান শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক জানান, তারই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের অবসরজনিত বিদায় অনুষ্ঠানের জন্য তিনি সব আয়োজন সম্পন্ন করেন; কিন্তু বিদায়ী শিক্ষককে দেওয়ার জন্য মানপত্রটি প্রস্তুত না থাকায় তিনি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেনকে নিয়ে উপজেলা সদরে আসেন। পরে সেখানে থেকে মানপত্রটি সংগ্রহ করে দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ে পৌঁছান।
এ সময় বিদায়ী শিক্ষক মানপত্র আনতে কেন দেরি হলো এ কথা বলেই প্রধান শিক্ষককে গালাগাল দিয়ে মারধর শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি সেখানে থাকা তার দুই ছেলে গোলাম মোস্তফা (৩৬), মনিরুজ্জামান (৩২) ও তার এক ভাতিজাকে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাককে পেটানোর জন্য নির্দেশ দেন।
বিষয়টি জানতে ও বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক জয়নুল আবেদীনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন জানান, চোখের সামনে যা ঘটেছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমরা একজন শিক্ষককে প্রকাশ্যে পেটানোর সঙ্গে জড়িত শিক্ষক ও তার ছেলেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুসাব্বির হোসেন বলেন, আহত শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আমার অফিসে এসেছিলেন। তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। আর অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আহত শিক্ষক থানায় এসেছিলেন। উনাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আহত শিক্ষক অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।