বরিশালে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে পাঠদান না করে ফেসবুকে ব্যস্ত থাকার প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগে তিন সহকারী শিক্ষককে বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বরিশাল মহানগর পুলিশের কাউনিয়া থানায় মামলা করেছেন মারধরের শিকার প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম।
মামলার আসামিরা হলেন- বরিশাল সদর উপজেলার কাগাশুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক মো. আবু বকর সিদ্দিক (৪৫), শারীরিক শিক্ষক মো. মোখলেচুর রহমান এবং ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষক শহীদুল ইসলাম সাইফুল্লাহ।
মামলার বরাতে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর পৌনে একটায় বিদ্যালয়ে যান প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম। বিদ্যালয়ে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীরা এসে জানিয়েছে শিক্ষকরা ঠিকমতো পাঠদান করেন না। তখন প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে গিয়ে দেখতে পান শারীরিক শিক্ষক মো. মোখলেচুর রহমান এবং ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষক শহীদুল ইসলাম সাইফুল্লাহ মোবাইল ফোনে ফেসবুকে ব্যস্ত রয়েছেন। পাঠদানে না গিয়ে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করার অনুরোধ করেন। এতে সহকারী দুই শিক্ষক ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষককে গালমন্দ করেন। তখন এ দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষকের ওপর দুই সহকারী শিক্ষকসহ কৃষি শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক প্রধান শিক্ষকের মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন। এছাড়াও প্রধান শিক্ষককে মারধর করে আহত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেছে। সহকারী শিক্ষকদের মারধরে প্রধান শিক্ষকের কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।